ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রশাসনসহ সব জায়গায় দখল শুরু হয়েছে। ফলে আবারও কর্তৃত্ববাদী সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
দেশের জন্য শঙ্কাজনক রাজনৈতিক শক্তির বিকাশ হচ্ছে বলেও উদ্বেগ জানান সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
নতুন বাংলাদেশ-দুর্নীতি প্রতিরোধ, গণতন্ত্র ও সুশাসন নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে টিআইবি। এতে গণতান্ত্রিক চর্চা, আইনের শাসন ও মানবাধিকার, অনিয়ম ও দুর্নীতি প্রতিরোধে বিভিন্ন খাতে সংস্কারের ৫৫ দফা সুপারিশ করেন ড. ইফতেখারুজ্জামান। কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রয়োজনীয় সময় দেয়ারও পরামর্শ দেন টিআইবি প্রধান।
এক প্রশ্নের জবাবে গত ৫ আগস্ট পরবর্তী দখলবাজি নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেন, যারা নিজেদেরকে রাজনৈতিকভাবে লাভবান ভাবছেন তারা তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন ট্রাস্ট দখল করা, জমি দখল করার মতো অবস্থায় তারা চলে গেছেন। স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক স্পেস, গভর্নমেন্ট স্পেস, উচ্চ পর্যায়ে সচিবালয়ের পদায়ন ইত্যাদি থেকে শুরু করে পুরো বিষয়টা এমন একটা শঙ্কার জায়গায় যাচ্ছে বলে অনেকের মনে করার যৌক্তিক কারণ আছে যে আসলেই কি কর্তৃত্ববাদী একটি সরকারের পতনের মাধ্যমে আরেকটি দলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কিনা।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শক্তির তৎপরতা নিয়েও সতর্ক করেন টিআইবির নির্বাহী। তিনি বলেন, বলতে কোনো দ্বিধা নেই আরও বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক শক্তি, বিভিন্ন ধারার রাজনৈতিক শক্তির বিকাশ ও প্রকাশ উন্মোচন হচ্ছে। এগুলো আমাদের জন্য শঙ্কাজনক। বিশেষ করে নাগরিকদের যে সাম্যতার অধিকার, সকল নাগরিকের সমান যে অধিকার সে অবস্থানের দিক দিয়ে আমাদের সাম্যতা ভিত্তিক সমাজের যে স্বপ্ন সেটা প্রতিহত করার মতো অনেক উপাদান কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, যা আমাকে শঙ্কিত করছে।
আদালত অঙ্গনে অরাজকতাসহ সম্প্রতি দায়ের করা মামলাগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করে টিআইবি।