বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বললেন, ‘যারা নিয়ে গেছেন বুঝতেই পারেননি, না বুঝেই নিয়ে গেছেন। সে জন্য তো হোয়াইট করার জন্য… সেগুলোকে আমাদের অর্থনীতির মূলধারায় নিয়ে আনার জন্যে এ কাজটি করা হবে।’
জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করার পরদিন শুক্রবার (১০ জুন) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অর্থমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার বাজেট বক্তৃতায় বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ কর দিয়ে বৈধ করার প্রস্তাব দেন মুস্তফা কামাল। এ সময় তিনি বলেন, কর দিয়ে পাচার টাকা অর্থ বৈধ হয়ে গেলে এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না কোনো কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিয়ে একাধিক মহল থেকে ওঠা প্রশ্নের রেশ ছিল শুক্রবারের আলোচনায়ও। সেখানে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘যেটা পাচার হয়ে গেছে সেটা এ দেশের মানুষের হক। যদি বাধা দিই তবে আসবে না। যদি না আসে আমাদের লাভটা কী? আমরা চাই, অন্য দেশ যা করে, আমরা তাই করতে যাচ্ছি। ১৭টা দেশ অ্যামনেস্টি দিয়ে টাকা ফেরত আনছে।’
এ রকম ব্যবস্থা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, মালয়েশিয়া, নরওয়েতেও আছে বলে দাবি করেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘কখনো কখনো বিভিন্ন কারণে টাকা চলে যায়। আমি টাকা পাচার হয় না কখনো বলি না। প্রমাণ ছাড়া বললে মামলায় আসে না। এই মুহূর্তে দেশের ভেতর যারা এ সব কাজ করে, তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কোর্টে মামলা আছে।’
এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের এটি চতুর্থ বাজেট। আর বাংলাদেশের জন্য ৫১তম। পাশাপাশি রাষ্ট্র পরিচালনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ২০তম বাজেট হলেও ২০০৮ সাল থেকে বর্তমান সরকার টানা বাজেট দিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত আছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, এনবিআরের চেয়ারম্যান, অর্থ সচিব, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবেরা উপস্থিত আছেন।