প্রাণ- প্রকৃতি, পরিবেশ ও জীববৈচিত্রের জন্য ভয়াবহ ক্ষতিকর উদ্ভিদ পার্থেনিয়াম নিধন ও জনসচেতনামূলক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে যৌথভাবে সেচ্ছাসেবী সংগঠন রিসার্চ সেন্টার, কুষ্টিয়া ও পাইওনিওর নামের দুটি সংগঠন।
০১ নভেম্বর, ২০২৪ শুক্রবার সকাল ০৮ টা থেকে বেলা সাড়ে ১১ টা পযর্ন্ত কুষ্টিয়া সদর উপজেলার চৌড়হাস জগতি এলাকায় ক্ষতিকর বৃক্ষ পার্থেনিয়াম নিধন ও এর ভয়বহতা সম্পর্কে জনসেচতনাসূলক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন দুটি সংগঠনের প্রায় ৪০ জনের মত সেচ্ছাসেবক। এসময় পরিবেশর জনৌ ক্ষতিকর পার্থেনিয়াম গাছ নিধন করে সেখানে ১৫ টি ফলজ, বনজ ও ওষধি বৃক্ষরোপন করেন।
এ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও রিসার্চ সেন্টার কুষ্টিয়ার পরিচালক মো. কবিরুল ইসলাম। এসময় তিনি বলেন,
বৃক্ষ নিধোনও কখোনো কখোনো প্রকৃতিকে সুরক্ষা দেয়। পার্থেনিয়াম তার বাস্তব উদাহরণ। এটি একটি পৃথিবীর ৭ম শীর্ষ ক্ষতিকারক বিষাক্ত উদ্ভিদ। এটি ত্বকে স্পর্শ করলে স্কিন ডিজিজ, অ্যালার্জির সমস্যা, এমনকি স্কিন ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। এর ফুলের রেণু শ্বাসকষ্ট, অ্যাকজিমার সৃষ্টি করতে পারে। গবাদি পশু খেলে তার দুধ ও মাংশ বিষাক্ত হয় যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন কুষ্টিয়া সিটি কলেজের সহকারি অধ্যাপক মো. ওবাইদুর রহমান, রিসার্চ সেন্টার, কুষ্টিয়ার প্রতিষ্ঠাতা, লালন বিজ্ঞান ও কলা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ইমাম মেহেদী, কে এসএম কলেজের সহকারি অধ্যাপক মো. আবু তাহের, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পাইওনিওর এর প্রতিষ্ঠাতা ইশতিয়াক মুন্না ও প্লাবন সহ দুটি সংগঠনের সেচ্ছাসেবক ও কেএসএম কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দ।