বছরের পর বছর বই উৎসবের নামে অর্থ অপচয় হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান। বুধবার (১ জানুয়ারি) রাজধানী ঢাকার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সন উদ্বোধন ও মোড়ক উন্মোচন’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এবছরের পাঠ্যবইয়ের উজ্জ্বলতা এবং কাগজের মান অনেক ভালো উল্লেখ করে এনসিটিবি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আপনারা জানেন, অন্যান্য বছরের যে বই গেছে, সেখানে অনেক দুর্নীতি হয়েছে। এবার বইয়ের কাগজের মান, বাঁধাই এবং ছাপার মান তদারকির জন্য মন্ত্রণালয়, এনসিটিবি ও মাঠ পর্যায়ের বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদেরও এর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।’
‘তারপরও কোনও বইয়ে কিছু ভুল… বানান কিংবা তথ্যগত ভুল থাকলে, সামনে সেগুলো শুধরে দেওয়া হবে’, বলেও জানান এনসিটিবির চেয়ারম্যান।
তিনি জানান, আজ জানুয়ারির ১ তারিখে দেশের সব বিদ্যালয়ে নতুন বই যাবে, সেটি নিশ্চিত করা হয়েছে। আর ৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রাথমিকের বাকি সব বই ও ১০ জানুয়ারির মধ্যে মাধ্যমিকের আটটি বই এবং ২০ তারিখের মধ্যে সকল শ্রেণির বই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছে যাবে। বিশেষ করে দশম শ্রেণির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে তাদের সবই পৌঁছে দেওয়া হবে।
ড. এ কে এম রিয়াজুল হাসান বলেন, সবমিলিয়ে ৪১ কোটির মধ্যে ৬ কোটি বই দেওয়া হয়ে গেছে এবং আরও ৪ কোটি বই এরইমধ্যে ট্রাকে উঠে গেছে। সেগুলো দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
এরইমধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ৪৪১টি বই পরিমার্জন করা হয়েছে বলেও জানান এনসিটিবি চেয়ারম্যান। এই বইগুলোর অনলাইন ভার্সন আজ থেকে এনসিটিবির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।