সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতির পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রী বলেন, কলেজছাত্রী সামিয়া আফরিন প্রীতির মৃত্যু বেদনাদায়ক। এ হত্যাকাণ্ড মেনে নেয়ার মতো নয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রীতির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে আমাদের পাঠিয়েছেন। আমরা তাদের (প্রীতির পরিবার) পাশে আছি, সেটা জানানোর জন্যই প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে পাঠিয়েছেন।
রাজধানীর শাহজাহানপুরে গুলিতে নিহত কলেজছাত্রী প্রীতির পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সমবেদনা জানানোর পর তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বুধবার (৩০ মার্চ) দুপুরে নিহত প্রীতির শান্তিবাগের বাসায় যান মন্ত্রী। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
প্রীতির পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক হাছান মাহমুদ ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া নিহতের বাবা জামাল উদ্দিন, মা হোসনে আরা ও তার ছোট ভাই সোহায়েদ সামির সঙ্গে একান্তে আলাপ করেন। অশ্রুসিক্ত সামিকে বুকে জড়িয়ে ধরে রাখেন মন্ত্রী।
পরে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। এসময় তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে, দলের পক্ষ থেকে প্রীতির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছি। যে কোনো প্রয়োজনে আমাদের দল ও সরকার তাদের পাশে থাকবে।
মন্ত্রী বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের মূল আসামি ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে। নিহত প্রীতির পরিবার মামলা না করলেও আমাদের দলের নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপুর স্ত্রী মামলা করেছেন। সেই মামলার এজাহারে প্রীতি হত্যাকাণ্ডের বিষয়টিও উল্লেখ আছে। আইনানুযায়ী একই ঘটনায় দুটি মামলার প্রয়োজন নেই। মূল আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে, যারা তার সঙ্গে ছিল তারাও পুলিশের জালের মধ্যে আছে। আশা করছি তারাও খুব দ্রুত গ্রেপ্তার হবে। অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, প্রীতির একমাত্র ছোট ভাই এবার এসএসসি পরীক্ষা দেবে। তার সঙ্গেও আমাদের কথা হয়েছে। আমরা এখান থেকে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বিস্তারিত জানাবো।
সরকারের কাছে প্রীতির পরিবার কোনো সাহায্যের আবেদন করেছে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, তারা সরকারের কাছে এখনো আবেদন করেননি। আমরা এ বিষয়টি দেখার জন্য কাউন্সিলরকে দায়িত্ব দিয়েছি। সরকারের পক্ষ থেকে যথাসম্ভব সহযোগিতা করা হবে।
গত ২৪ মার্চ রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর শাহজাহানপুরে ইসলামী ব্যাংকের পাশে বাটার শো-রুমের সামনে গুলিবিদ্ধ হন কলেজছাত্রী প্রীতি। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। একই সময়ে বৃহত্তর মতিঝিল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম টিপুকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়। মূলত আওয়ামী লীগ নেতা টিপুর ওপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা। এসময় পাশেই রিকশায় থাকা প্রীতি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন।