মুহাম্মদ তৈয়্যবুল ইসলাম,রাঙ্গুনিয়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: নুরুল আজিম (২৮) বিবাহিত জানার পর ইয়াছমিন আকতার (২০) প্রেমের সম্পর্ক ছিন্ন করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আজিম গভীর রাতে দেখা করার কথা বলে এসে ঘরের জানালা দিয়ে ইয়াছমিনের মুখে এসিড নিক্ষেপ নিক্ষেপ করে পালিয়ে যান তিনি। আজিম পেশায় একজন সিএনজি চালক। এসিড নিক্ষেপে তরুণীর শরীরের অর্ধেক অংশ চোখ, মুখ ও বুক ঝলসে যায়। ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বেতাগী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড ডিঙ্গললোঙ্গো এলাকায়।
ইয়াছমিন আকতার ঐ এলাকার আবুল বাশারের মেয়ে। এ ঘটনায় ইয়াছমিন আকতারের আপন ভাই আবু তাহের বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া মডেল থানায় মো.আজিমকে (৩০) আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। বৃহস্পতিবার (৫ মে) ভোরে অভিযান চালিয়ে মো.আজিমকে (৩০) গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আসামি মো.আজিম (৩০) রাঙামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা থানার ৫ নম্বর ওয়ার্ড খন্তাকাটা এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে। মামলার বাদী ইয়াছমিনের বড় ভাই আবু তাহের বলেন, আমি রাত ২ টার দিকে হঠাৎ করে আমার বোনের চিৎকার শুনতে পেয়ে রুমে ছুটে গিয়ে দেখি আমার বোনের শরীরের অর্ধেক অংশ ঝলসে যায়। জানতে চাইলে আমার বোন বলে, আজিম নামের এক ব্যক্তি আমাকে জানালা দিয়ে এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। তখন পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য চন্দ্রঘোনা একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। এতে তার অবস্থা গুরুতর হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) প্রেরণ করা হয়। তিনি আরও বলেন, আমার বোনের সুন্দর জীবন নষ্ট করেছে আজিম। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি চাই। যেন এভাবে কোন মেয়ের জীবন ধ্বংস না হয়।
রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব মিলকী বলেন, রাত আনুমানিক ৩ টার সময় একটি কল আসে। ঘটনা সম্পর্কে যেনে দ্রুত একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠায়। গিয়ে দেখা যায় ইয়াছমিন আকতার (২০) নামে এক তরুণীকে এসিড নিক্ষেপ করা হয়। তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য চদ্রঘোনা একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। তিনি আরও বলেন, জানা গেছে ইয়াছমিন আকতারের সাথে আসামি আজিমের দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। একপর্যায়ে ইয়াছমিন জানতে পারে আজিম বিবাহিত এবং তার সন্তান রয়েছে। তারপর থেকে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরী হয়। গতকাল রাতে ইয়াছমিনের সাথে জানালা দিয়ে আলাপ করার একপর্যায়ে হঠাৎ তার শরীরে এসিড নিক্ষেপ করে আজিম পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ইয়াছমিন আকতারের ভাই আবু তাহের বাদী হয়ে থানায় মো.আজিমকে (৩০) আসামি করে একটি মামলা দায়ের করলে চন্দ্রঘোনা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।