ঢাকার ধামরাইয়ে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে করিম টেক্সটাইলের এক নারী শ্রমিককে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে প্রেমিকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে থানায় মামলা করলে পুলিশ প্রেমিক রিফাতকে গ্রেপ্তার করে। পরে রিমান্ড চেয়ে আসমিকে আদালতে প্রেরণ করলে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদলত।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেন ধামরাই (ওসি) অপারেশন নির্মল কুমার দাস। এর আগে শনিবার দিনগত রাতে ধামরাই উপজেলার সূয়াপুর এলকায় অভিযান চালিয়ে রিফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই নারীর সাথে রিফাতের দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে তার অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। এরপর রিফাত ফন্দি করে গত (জানুয়ারি ২৪) দুপুরে ওই নারীর বান্ধবী জোৎনা ও জরিনাকে দিয়ে কৌশলে ডেকে এনে করিম টেক্সটাইল কারখানার পূর্ব পাশে ইটভাটার একটি পরিত্যাক্ত ঘরে নিয়ে তিন বন্ধু মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে স্থানীয়রা ভুক্তভোগীর চিৎকার শুনতে পেয়ে এগিয়ে এলে অভিযুক্তরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তখন ওই নারীকে উদ্ধার করে তার স্বামীকে খবর দেয়। স্বামী এসে তাকে নিয়ে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে পাঁচ জনের নাম উল্লেখ্য করে মামলা করেন। মামলায় আসামিরা হলেন, ধামরাই উপজেলার সূয়াপুর ইউনিয়নের করিম কায়েমতারা গ্রামের মৃত আইয়ুব আলী ছেলে প্রেমিক রিফাত হোসেন (২০) তার বন্ধু সাইফুল ইসলাম (২২) ও সুমন মিয়া এবং ধর্ষণে সহযোগী করিম টেক্সটাইলের শ্রমিক জোৎনা আক্তার ও জরিনা আক্তার।
ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বলেন, আমার স্ত্রীর গর্ভে দেড় মাসের সন্তান ছিলো সে সন্তান ও নষ্ট হয়ে গেছে। আমার স্ত্রীর সাথে যারা এমন অমানবিক কাজ করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানায়।
এই বিষয়ে ধামরাই থানার (ওসি) নির্মল কুমার দাস বলেন, গণ ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে মামলা করেন। সেই মামলায় অভিযান চালিয়ে রিফাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তার চেষ্টা চলছে।