এখন যারা স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলছেন, তারাই দেশে অস্বচ্ছ নির্বাচনের প্রবর্তন করেছেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান করে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হলেও বিএনপির অন্য নেতাদের পছন্দ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।
একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) কেন্দ্রীয় ১৪ দলের উদ্যোগে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে আমু এ কথা বলেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, ‘অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকে বৈধতা দিতে দল গঠনের মাধ্যমে দুই-তৃতীয়াংশ মেজরিটি নিতে নির্বাচনের নামে ব্যালট বাক্স ছিনতাই, কেন্দ্র দখলসহ নির্বাচন পদ্ধতিকে তারা বিধ্বস্ত করেছিল। ২০০৬ সালে এক কোটি ২০ লাখ ভুয়া ভোট, ইয়াজ উদ্দিন আহমেদকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ও নিজেদের পছন্দের লোককে নির্বাচন কমিশনের প্রধান করতে গিয়ে জনবিস্ফোরণে পতন হয়েছিল বিএনপির।’
বঙ্গবন্ধুই বাঙালি জাতির প্রথম ভাষা সৈনিক হিসেবে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন উল্লেখ করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ছিল ভাষা আন্দোলনের জন্য অনন্য, অবিস্মরণীয় দিন। রাষ্ট্রভাষার দাবিতে এদিন প্রথম হরতাল পালিত হয়। এটি ছিল পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর প্রথম হরতাল। সেই হরতালে নেতৃত্ব দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পুলিশি নির্যাতনের শিকার হন এবং গ্রেপ্তার হন। ভাষা আন্দোলনে অংশ নিয়ে এটিই ছিল কোনো রাজনৈতিক নেতা গ্রেপ্তারের প্রথম ঘটনা। এটি ছিল প্রথম কোনো ভাষা সৈনিকের গ্রেপ্তারের ঘটনা।
আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন— আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটি ব্যুরোর সদস্য অধ্যাপক সুশান্ত কুমার দাস, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সাধারণ সম্পাদক শিরিন আক্তার,, বাংলাদেশ গণআজাদী লীগের সভাপতি এস কে সিকদার, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেনসহ ১৪ দলের নেতারা।