ঢাকা , সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
মুরাদনগরের আলোচিত ট্রিপল মার্ডার, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মাদকের বিরুদ্ধে নারী-শিশুদের বিক্ষোভ ও মানববন্ধন চারদিন পর চন্দ্রঘোনা-রাইখালী নৌ রুটে ফেরি চলাচল শুরু মুন্নু সিরামিকসের চেয়ারম্যানসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে দুদক রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আটক নির্বাচনে ৮০ হাজারের বেশি সেনাসদস্য দায়িত্বে থাকবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চাচা ও চাচাতো ভাই কর্তৃক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, ছড়িয়ে দেওয়া হলো ভিডিও কুষ্ঠ চিকিৎসা কেন্দ্র চন্দ্রঘোনায় বিজিসি ট্রাস্ট মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে খোকসায় মানববন্ধন এবার ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহত ২, আহত ১৭

ফরিদগঞ্জে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বৃদ্ধাকে উদ্ধার করল ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ স্ত্রী-সন্তানেরা আটক

মোঃ জাকির হোসেন, ফরিদগঞ্জ, চাদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মনোয়ার হোসেন ওরফে মনা (৫৫) নামের এক অভিভাবককে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নিজের ঘর থেকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় এলাকাবাসীসহ থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ১২টায় ফরিদগঞ্জ পৌরসভার পূর্ব বড়ালী গ্রামের গাজী বাড়ি ও পালের বাড়ি সংলগ্ন এ ঘটনা ঘটে।

‎প্রতিবেশী ইমাম হোসেন নান্টু, শাহাদাত হোসেন ও ফিরোজ আলম জানান, একটি অটোরিকশা কেনাবেচা নিয়ে মনোয়ার হোসেনের মেজো ছেলে জুয়েল, বড় মেয়ে প্রিয়া ও ছোট মেয়ে রিয়া এবং স্ত্রী তাসলিমা বেগম মিলে মনোয়ার হোসেনকে হাত-পা বেঁধে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করতে থাকেন। একপর্যায়ে মেয়েরা বালিশ চাপা দিয়ে তাঁকে মারার চেষ্টা করেন।
এ সময় তাঁর ডাক চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় রাতে তাঁকে তাঁর নিজের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মনোয়ার হোসেনের স্ত্রী তাসলিমা বেগম, মেজ ছেলে জুয়েল হোসেন, বড় মেয়ে প্রিয়া ও ছোট মেয়ে রিয়া আক্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

‎মনোয়ার হোসেন পুলিশকে জানান, তিনি স্থানীয় ব্র্যাক এনজিও থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে একটি অটোরিকশা কিনেছেন। কিন্তু তাঁর স্ত্রী-সন্তানেরা ওই অটোরিকশা ৫৩ হাজার টাকায় বিক্রি করে ফেলেন। এ নিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হলে তাঁকে হাত-পা বেঁধে মারধর করে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। পরে ডাকচিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘মনোয়ার হোসেন তিন ছেলেসহ পাঁচ সন্তানের জনক। তাঁদের মধ্যে দুই ছেলে বিদেশে থাকেন। অন্য ছেলেমেয়েরা ও স্ত্রীর সঙ্গে ঘটনার দিন পারিবারিক কোনো বিষয় নিয়ে বাক্ বিতন্ড হয়।

‘প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পারি, পারিবারিকভাবে একটি অটোরিকশা ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে আমরা এই ঘটনায় স্ত্রী ও তিন সন্তানকে আটক করেছি। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০২:২৫:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
৫২২ Time View

ফরিদগঞ্জে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় বৃদ্ধাকে উদ্ধার করল ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ স্ত্রী-সন্তানেরা আটক

আপডেটের সময় : ০২:২৫:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মনোয়ার হোসেন ওরফে মনা (৫৫) নামের এক অভিভাবককে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় নিজের ঘর থেকে উদ্ধার করেছে স্থানীয় এলাকাবাসীসহ থানা পুলিশ। গতকাল শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ১২টায় ফরিদগঞ্জ পৌরসভার পূর্ব বড়ালী গ্রামের গাজী বাড়ি ও পালের বাড়ি সংলগ্ন এ ঘটনা ঘটে।

‎প্রতিবেশী ইমাম হোসেন নান্টু, শাহাদাত হোসেন ও ফিরোজ আলম জানান, একটি অটোরিকশা কেনাবেচা নিয়ে মনোয়ার হোসেনের মেজো ছেলে জুয়েল, বড় মেয়ে প্রিয়া ও ছোট মেয়ে রিয়া এবং স্ত্রী তাসলিমা বেগম মিলে মনোয়ার হোসেনকে হাত-পা বেঁধে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করতে থাকেন। একপর্যায়ে মেয়েরা বালিশ চাপা দিয়ে তাঁকে মারার চেষ্টা করেন।
এ সময় তাঁর ডাক চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় রাতে তাঁকে তাঁর নিজের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মনোয়ার হোসেনের স্ত্রী তাসলিমা বেগম, মেজ ছেলে জুয়েল হোসেন, বড় মেয়ে প্রিয়া ও ছোট মেয়ে রিয়া আক্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।

‎মনোয়ার হোসেন পুলিশকে জানান, তিনি স্থানীয় ব্র্যাক এনজিও থেকে ৭০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে একটি অটোরিকশা কিনেছেন। কিন্তু তাঁর স্ত্রী-সন্তানেরা ওই অটোরিকশা ৫৩ হাজার টাকায় বিক্রি করে ফেলেন। এ নিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হলে তাঁকে হাত-পা বেঁধে মারধর করে মেরে ফেলার চেষ্টা করা হয়। পরে ডাকচিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে তাঁকে উদ্ধার করেন।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ‘মনোয়ার হোসেন তিন ছেলেসহ পাঁচ সন্তানের জনক। তাঁদের মধ্যে দুই ছেলে বিদেশে থাকেন। অন্য ছেলেমেয়েরা ও স্ত্রীর সঙ্গে ঘটনার দিন পারিবারিক কোনো বিষয় নিয়ে বাক্ বিতন্ড হয়।

‘প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পারি, পারিবারিকভাবে একটি অটোরিকশা ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে আমরা এই ঘটনায় স্ত্রী ও তিন সন্তানকে আটক করেছি। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’