সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দেশে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ফের বাংলা ব্লকেড ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে শাহবাগ থেকে এ ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি শুরু হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শাহবাগ অবরোধ করা হবে।
এ সময় আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নির্বাহী বিভাগের সর্বোচ্চ পদ থেকে প্রতিশ্রুতি পেলে শিক্ষার্থীরা রাজপথ ছাড়বেন। পাশাপাশি যৌক্তিক সংস্কার করে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ কোটা রাখারও দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। শুধুমাত্র অনগ্রসর জনগোষ্ঠী এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা কোটা পেতে পারেন। নাতি-নাতনিরা নন।
এর আগে গত ৭ জুলাই থেকে ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে এই অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দুদিন অর্ধদিবস অবরোধ চলার পর মঙ্গলবার বিরতি দেয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনের পর সরকার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে পুরো কোটাব্যবস্থা বাতিল করে। ওই বছরের ৪ অক্টোবর কোটা বাতিলবিষয়ক পরিপত্র জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। পরে ২০২১ সালে সেই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের অংশটিকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রিট করেন। গত ৫ জুন রায় ঘোষণায় মুক্তিযোদ্ধা কোটায় নবম থেকে ১৩তম গ্রেডে নিয়োগ দেওয়ার বাধা দূর হয়। ওই রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আবেদন করে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারাধীন মামলাটিতে পক্ষভুক্ত হতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আল সাদী ভূঁইয়া এবং উর্দু বিভাগের শিক্ষার্থী আহনাফ সাঈদ খান আবেদন করেন। এরপর আজ (বুধবার) আপিল বিভাগ সরকারি চাকরিতে কোটা বহালে হাইকোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন।