বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ফিরতে পারবেন ট্রাম্প। তৃতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন ট্রাম্প। তাকে ফেসবুকে ফেরাতে জোর দিচ্ছিলেন রিপাবলিকানরা। চলতি সপ্তাহেই তার অ্যাকাউন্টের দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা শেষ হবে। সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম দুটির কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান মেটাও এ তথ্য জানিয়েছে।
মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ বলেন, ‘আমাদের রাজনীতিবিদরা কী বলেন সেটি জনগণের জানার ব্যবস্থা থাকতে হবে। ’ তিনি আরো যোগ করে বলেন, ‘ক্যাপিটল হিলে হামলাকারীদের প্রশংসা করেছিলেন ট্রাম্প। এর ভিত্তিতে তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। ওই পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্তটি ছিল যুগোপযোগী। তবে বর্তমানে ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট জননিরাপত্তার জন্য ঝুঁকি নয়। ফের নিয়মনীতি ভঙ্গ করলে পরবর্তীতে আরও বড় শাস্তির মুখে পড়বেন তিনি। ’
এদিকে ট্রাম্প যেহেতু পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তাই তার দল রিপাবলিকান পার্টি কয়েকদিন ধরে মেটাকে চাপ দিচ্ছিল তার অ্যাকাউন্টটি সক্রিয় করে দেওয়ার জন্য। মেটা নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর ফেসবুককে খোঁচা দিয়ে ট্রুথ সোশ্যাল নামে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘ফেসবুক কয়েক বিলিয়ন ডলার হারিয়েছে, আপনার প্রিয় প্রেসিডেন্টকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে।’
২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে এ নিয়ে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ান। তার নির্দেশে ২০২১ সালে ক্যাপিটাল হিলে আক্রমণ করে রিপাবলিকান পার্টির সমর্থকরা। এ ঘটনার পর ট্রাম্পকে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয় ফেসবুক।সূত্র : বিবিসি।