ইয়াছির আরাফাত
জামালপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
জামালপুরে বকশীগঞ্জ উপজেলায় এবার বারি- ৯, ১৪, বারি-১৭ বারি১৮,বিনা ৪, বিনা, ৯ ও বিনা ১১ জাতসহ সকল জাতের সরিষার বাম্পার ফলন হয়েছে। সরিষার হলুদ ফুলে ছেয়ে গিয়েছে ফসলের মাঠ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় সরিষার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগ ও কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত বছর এ উপজেলায় ৪ হাজার ৬ শ ১৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ হয়েছিল। এবার এ উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৭ হাজার ৫শ’২০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে এবার ২হাজার ৯ শ ৫ হেক্টর জমিতে সরিষা বেশি আবাদ হয়েছে। মোট আবাদকৃত জমির মধ্যে ৪ হাজার ৫শহেক্টর জমিতে বারি-১৪ জাতের সরিষা চাষ করা হয়েছে।
ধান বা অন্য ফসলের তুলনায় সরিষা আবাদ লাভজনক হওয়ায় কৃষকরা দিনদিন এ চাষে ঝুঁকছে। অপরদিকে স্থানীয় কৃষি বিভাগ সরিষা চাষে কৃষকদেরকে উৎসাহিত করার নানাভাবে প্রণোদনা দিয়েছেন। সে প্রেক্ষিতে ৬ হাজার ৭শ ৫০ জন কৃষককে প্রতি বিঘার জন্য ১০ কেজি এমওপি সার, ১০ কেজি ডিএপি সার এবং ১ কেজি করে বীজ বিনামূল্যে প্রদান করেছেন।
উপজেলার সাধুরপাড়া ইউনিয়নের শান্তিনগর গ্রামের কৃষক ধানু মিয়া জানান, তিনি এবার ৩ বিঘা জমিতে বারি-১৪ ও ১৭ জাতের সরিষার চাষ করেছেন। প্রচুর ফুল ফুটেছিল এবং তা থেকে পরিপূর্ণ ছেঁইও ধরেছে। এ সময় আবহাওয়া অনুকূলেও ছিল। তিনি মনে করেন ফলন খুব ভাল হবে। পৌর এলাকার চরকাউরিয়া মাঝপাড়া গ্রামের সরিষা চাষি ইন্তাজ আলী জানান, বীজ বপনের ২ মাসের মধ্যেই সরিষা ঘরে উঠে আসে। সরিষা উঠিয়ে বোরো চাষ করতে কোনো সমস্যা হয় না এবং বোরো ধানের ফলনেও কোনো প্রভাব পড়ে না। তার মতে সরিষার আবাদ করা মানেই অতিরিক্ত লাভের মুখ দেখা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, জমির অবস্থানুযায়ী কৃষকদের সঠিকমাত্রায় সার ও কীটনাশক দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও সরিষা আবাদে কৃষকদের উৎসাহিত করতে ৬ হাজার ৭শ ৫০ জন কৃষককে বিনামূল্যে ২ ধরণের সার ও বীজ দেয়া হয়েছে।