২৮ ই জুন, ২০২৪, শুক্রবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ বিষয়ক সেমিনারের ৯৫৮ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও।
সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি গবেষক অধ্যক্ষ মাসুদ আহমেদ।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি গবেষক ও বি সি এস এডুকেশন ক্যাডার এর সদস্য বাবু রণজিৎ মল্লিক।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য শিক্ষক নেত্রী মিসেস সংগীত বিশ্বাস।
সেমিনারে আলোচকবৃন্দ হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট নারী উদ্যোগক্তা পারভীন আক্তার, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর মিডিয়া ও জার্নালিজম বিভাগের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু, সাদিয়া হালিমা ও শাকিব হোসেন।
সভাপতির বক্তব্যে ড. কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সততা ছিল প্রশ্নাতীত।
সেমিনারের মুখ্য আলোচক পি এইচ ডি গবেষক অধ্যক্ষ মাসুদ আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান শুধুমাত্র রাজনৈতিক মহানায়ক নয়, তিনি সফল স্বাধীন দেশের নায়ক ছিলেন। ১৯ শতক এবং ২০ শতকে তৎকালীন সময়ে বিশ্বে বহু দেশ স্বাধীন হয়েছে যারা সংবিধান রচনায় পিছিয়েছিল স্বাধীনতার পরবর্তীতে । শেখ মুজিবুর রহমান সফলভাবে স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে দ্রুততম সময়ে সংবিধান রচনা সম্পূর্ণ করেন। তিনি ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে চত্রিশ জন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেন। ছয় দফা এবং ছাত্রদের দাবি ১১ দফার আলোকে সংবিধান রচনা করতে বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের জন্য একটি শ্রেষ্ঠ সংবিধান রচনা করে গেছেন।
তিনি আরও বলেন , বাংলাদেশের সংবিধানকে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ তিন চারটি সংবিধানের সাথে তুলনা করা যায়। ব্রিটিশ সংবিধানের সাথে বাংলাদেশের সংবিধানের বিশেষ মিল রয়েছে।
সেমিনারের প্রধান অতিথি
পি এইচ ডি গবেষক বাবু রণজিৎ মল্লিক বলেন,
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সততার জন্যই নেতা হিসেবে এত প্রশংসনীয় ছিলেন।
সশস্ত্র যুদ্ধের ভিতর দিয়ে একটি দেশ স্বাধীন করেছেন ।তার বিপ্লবী চিন্তার মাধ্যমে একটি দেশ স্বাধীন হয়েছে এবং এটি ছিল তার প্রথম বিপ্লব। দ্বিতীয় বিপ্লবটি ছিল রাজনৈতিক নয় সামাজিক বিপ্লব যার জন্য তিনি সমাজকে পরিবর্তনের নানা পদক্ষেপ নেন।
সেমিনারের বিশেষ অতিথি শিক্ষক নেত্রী মিসেস সংগীতা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন – “সাত কোটি বাঙালির ভালোবাসার কাঙ্গাল আমি , সব হারাতে পারি বাঙালির ভালোবাসা হারাতে পারবো না।
সেমিনারে যুক্ত গণমাধ্যম কর্মী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভিন্ন মত কে প্রশ্রয় দিতেন এবং শুনতেন।
সেমিনারে উপস্থিত মিসেস
পারভিন আক্তার বলেন, এদেশের মানুষকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেভাবে সংগ্রাম করে মুক্ত করে গেছেন সেভাবে আমরাও নিজেদের জীবনে ভালো কিছু করব সংগ্রাম করে।
জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার মিসেস সাদিয়া হালিমা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৈশোর থেকেই লেখাপড়ার চেয়ে বেশি মনোযোগী ছিলেন রাজনীতির প্রতি। ইংরেজ শাসনামলে তিনি যখন গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলের ছাত্র, তখন বাংলার প্রধানমন্ত্রী শেরেবাংলা একে ফজলুল হক গোপালগঞ্জ সফরে গেলে অন্যসব ছাত্রের মধ্য থেকে সহজেই তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে কিশোর মুজিব
জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শাকিব হোসেন বলেন, ২৮ জুন ১৯৭৫ সালের আজকের এই দিনে, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে গঠিত হয়েছিল বাংলাদেশ টেলিফোন ও টেলিগ্রাফ বোর্ড।
সেমিনারে উপস্থিত জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভালো মনের অধিকারী ছিলেন। তিনি ছিলেন হৃদয়বান, শিশুর মতো সরল আর আকাশের মতো উদার।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন, গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার।