আজ বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবে আবদুস সালাম হলে বঙ্গবন্ধু পরিষদের উদ্যোগে ঐতিহাসিক “বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস” উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন: বাঙালির স্বাধীনতার পরিপূর্ণতার দিন শীর্ষক আলোচনাসভা বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান লাল্টু’র সঞ্চালনায় ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি, অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য, লেখক, কলামিস্ট অজিত কুমার সরকার, বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ড. কামালউদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু পরিষদের যুগ্ম ষাধারণ সম্পাদক ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল-মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক এড. আবদুস সালাম পিপি ও ড. লিয়াকত হোসেন মোড়ল প্রমুখ।
আলোচনায় অংশ নিয়ে অধ্যাপক আ ব ম ফারুক বলেন, আমাদের দুর্ভাগ্য যে, আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাঁচিয়ে রাখতে পারিনি। বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানী স্বৈরশাসকরা ক্যাঙ্গারু ট্রায়ালের মাধ্যমে ফাঁসি দিতে চেষ্টা করেছিল। এমনকি স্বাধীন দেশেওতাকে বারবার হত্যার চেষ্টা হয়েছে। এখন সময় এসেছে জাতির পিতার হত্যার পিছনে যে অপশক্তি কাজ করেছে, একটি নিরপেক্ষ, স্বাধীন ও আন্তর্জাতিক মানের তদন্ত কমিশন গঠন করে জাতির কাছে বঙ্গবন্ধুর প্রকৃত খুনীর মুখোশ উন্মোচন করা। এটা বঙ্গবন্ধু পরিষদ দীর্ঘদিন যাবৎ এই দাবি করে আসছে।
ডা. শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও জননেত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে ভিন্নতা এখানেই বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশে ফিরে আসাতে আমাদের স্বাধীনতা পরিপূর্ণতা লাভ করে। আর জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশে এসে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারায় বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনেন। দেশ এখন উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে।
লেখক-কলামিস্ট অজিত সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধুই পৃথিবীর একমাত্র নেতা, যিনি জাতীয়তাবাদী চেতনাকে জাতিসত্ত্বায় রূপান্তরিত করে স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টি করেছেন।
ড. কামালউদ্দিন বলেন, “বঙ্গবন্ধু ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে ফিরে একটি উত্তম সংবিধান জাতিকে উপহার দিলেন। তিনি বললেন, যুদ্ধ শেষ হয়েছে, এখন দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে হবে।
এড. আবদুস সালাম বলেন, বঙ্গবন্ধু জনগণের ভালোবাসা নিয়ে বিশ্বকে জয় করেছিলেন। আর আমরা স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধুকে বাঁচিয়ে রাখতে পারি নাই। এটা আমাদের ব্যর্থতা। আজও স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ এগিয়ে চলেছে, এগিয়ে যাবে।
প্রধান বক্তা মাননীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেন, পৃথিবীতে এমন নেতা জন্মেনি বঙ্গবন্ধুর মতো। কিন্তু দুর্ভাগ্য এই যে, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন করা দেশে যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতার শত্রুরা এদেশকে নিয়ে নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তারেক রহমান লন্ডনে বসে আছে পাকিস্তানের অর্থে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করছেন। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশ ও জাতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ নির্বাচনে সকল ভেদাভেদ ভুলে আমাদেরকে জনগণকে সাথে নিয়ে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন দেশে বিএনপি জামাত যে ভাষায় কথা বলে, তা রাষ্টদ্রোহিতার সামিল।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রকৃত দেশপ্রেমিক ছিলেন। বাঙালি জাতিকে তিনি বেশি ভালোবাসতেন। তাইতো তিনি ১০ই জানুয়ারি বাংলাদেশে ফিরে নিজের পিতা-মাতা পরিবারের কাছে না গিয়ে, জনতার ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনতার কাতারে যোগ দিলেন।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সহ-প্রচার সম্পাদক এইচ এম মেহেদী হাসান, কার্যনির্বাহী সদস্য নাহিদ নূর আলো, পরিবেশ ও বন সম্পাদক নেছার আহমেদ ভূঞা, সমাজকল্যাণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, রূপালী ব্যাংক বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি সুজাত আলী জাকারিয়া। ভাচ্যুয়ালী অংশগ্রহণ করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক ড. ফায়েকুজ্জামান প্রমুখ।