৪ ঠা জুন,২০২৪, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ বিষয়ক সেমিনারের ৯৩৪ তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত জুম ওয়েবিনারে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও। সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বি সি এস এডুকেশন ক্যাডার এর সদস্য ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পি এইচ ডি গবেষক বাবু রণজিৎ মল্লিক। সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মহিলা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিসেস আকলিমা জাহান। সেমিনারে গেস্ট অফ অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শারমিন সুলতানা শিমু। এছাড়াও আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকার ও নাট্যব্যক্তিত্ব সন্দীপন কুমার বিশ্বাস, জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার সাদিয়া হালিমা, শাকিব হোসেন ও ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির একদল শিক্ষার্থী। সভাপতির বক্তব্যে ড. কলিমউল্লাহ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন আপোষহীন নেতা। প্রধান অতিথির বক্তব্যে পি এইচ ডি গবেষক বাবু রণজিৎ মল্লিক বলেন, হাজার বছরের সংস্কৃতির হাত ধরে বঙ্গবন্ধু আমাদের কাছে এসে হাজির হয়েছেন। এই সংস্কৃতি একদিনে যেমন গড়ে ওঠেনি তেমনি বঙ্গবন্ধু একদিনে গড়ে ওঠেননি। হাজার বছরের সংস্কৃতির লালনের মাধ্যমেই কেবল বঙ্গবন্ধু সাহস করে উঠতে পেরেছিলেন বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদ সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটাতে। আমাদের স্বাধীন দেশের ভিত্তি গড়তে। বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, সংগীত -সমগ্র কিছু মিলিয়ে একটি সুন্দর বাঙালি সংস্কৃতি গঠন হয় ।বঙ্গবন্ধু চেয়েছেন সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং চর্চা সংস্কৃতি গড়তে স্বাধীন বাংলাদেশে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে চারটি স্তম্ভ দিয়ে বাংলাদেশ গঠন করেছেন সেই চারটি স্তম্ভ তিনি তার জীবনে সমগ্র জীবন ধরে পালন করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, “রেখেছো বাঙালি করে মানুষ করনি ” কিন্তু দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফিরে এসে বলেন , “বাঙালি যদি প্রকৃত বাঙালি হয় তবে সে আগে মানুষ হয় তবেই বাঙালি হয়।” বঙ্গবন্ধু আমাদের বাঙালি জাতীয়তাবাদ , সমাজতন্ত্র ,গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা পালন করেছেন এবং তারই ভিত্তিতে গড়ে তুলেছিলেন বাংলাদেশের সংবিধানের মূল ভিত্তি। আমরা আমাদের ব্যক্তিগত জীবনে এই চারটি স্তম্ভের আদর্শ মেনে চলব বিশ্ব নাগরিক হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি অধ্যক্ষ আকলিমা জাহান বলেন, জাতির পিতা ছিলেন অসাধারণ উদার মানসিকতা সম্পন্ন একজন ব্যাক্তি। তিনি সকল মানুষকে সমান ভাবে মূল্যায়ন করতেন। তার কাছে ধনী, দরিদ্র, উঁচু, নিচু বলে কোন ভেদাভেদ ছিলো না। এ প্রেক্ষিতে একটি ঘটনার উল্লেখ করেন। একদা জাতির পিতা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে লেকের পাড়ে বসে গল্প করছিলেন। ইতিমধ্যে রাতের খাবারের সময় হয়ে গেলো। জাতির পিতা গেট দিয়ে বাসায় প্রবেশের সময় কর্তব্যরত পুলিশ সিকিউরিটির হাত ধরলেন, তারপর বললেন, ” চল, কামালের মা আজ মুরগীর মাংস রান্না করেছে। একসাথে খাবো।” এমনই অনন্য গুণাবলীর মহৎপ্রাণ মানুষ ছিলেন আমাদের জাতির পিতা। অনুষ্ঠানের গেস্ট অব অনার শারমিন সুলতানা শিমু বলেন, বঙ্গবন্ধু সবসময় তৃণমূল মানুষের পাশে ছিলেন। তাই জাতির পিতাকে বলা হয় গণমানুষের নেতা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার শাকিব হোসেন বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অত্যন্ত দূরদর্শী ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একজন মানুষ ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত জানিপপ এর ন্যাশনাল ভলান্টিয়ার সাদিয়া হালিমা বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে শুধু বাংলাদেশই এতিম হয়নি, বিশ্ববাসী হারিয়েছে একজন মহামানব, একজন মহান নেতা। সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন, গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার।