আজ বৃহস্পতিবার,১১, আগস্ট,২০২২ খ্রি. তারিখে মুজিব শতবর্ষ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ১০২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষকালব্যপী জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ সেমিনারের ৩৭৩তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইউএন ডিজএ্যাবিলিটিস রাইটস চ্যাম্পিয়ন ও অনারারি প্রফেসর আবদুস সাত্তার দুলাল এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে নেপাল থেকে সংযুক্ত ছিলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড.জেবউননেসা ও রংপুর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আর্জিনা খানম ।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন, ইন্টারন্যাশনাল রবীন্দ্র রিসার্চ ইনস্টিটিউটের পরিচালক ও সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা আক্তার ও বগুড়া থেকে রুরাল ডেভেলপমেন্ট একাডেমির ডিডি ও পিএইচডি ফেলো মোঃ মাজহারুল আনোয়ার
এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন গোপালগঞ্জস্থ বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ’র অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।
সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মনে প্রাণে ভালবাসতেন বাঙ্গালী এবং বাংলাদেশকে। তিনি আরো বলেন,বঙ্গবন্ধু বাঙালির প্রতি ভালবাসার অফুরান ঝর্ণাধারার উৎস।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন, বাংলাদেশ যতদিন থাকবে, বাঙালি যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন বঙ্গবন্ধুকে হারানোর বেদনা বুকে নিয়েই বেঁচে থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। অকৃত্রিম ভালবাসা দিয়ে দেশের মানুষকে আগলে রাখার চেষ্টা করেছেন আজীবন। বঙ্গবন্ধুর এই ভালোবাসার ঋণ শোধ করতে হলে ভালোবাসা দিয়েই শোধ করতে হবে, তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে।
অধ্যাপক ডক্টর জেবউননেসা বলেন, জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান কেবল একজন বঙ্গবন্ধু নন, তিনি বিশ্ববন্ধু। বঙ্গবন্ধু ছিলেন মানবতাবাদী। মানুষের প্রতি তিনি ভালোবাসার বিস্তার ঘটিয়েছিলেন সফলভাবে। কবি ফিউরি আকন্দ’র কবিতার চরণ উদ্ধৃত করে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসলে আমিও তোমাকে ভালোবাসবো।’
আর্জিনা খানম, বঙ্গবন্ধু চর্চার সান্ধ্যকালীন আয়োজন অব্যাহত রাখার জন্য জানিপপ’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
সহযোগী অধ্যাপক ফারহানা আক্তার বলেন, এই উপমহাদেশে হাতেগোনা যে ক’জন নেতা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের মধ্যে বঙ্গবন্ধু ছিলেন শীর্ষে। বঙ্গবন্ধুর অসাধারণ সম্মোহনী ক্ষমতা ব্যাপক জনগোষ্ঠীর মন ছুঁয়েছিল, হৃদয়কে স্পর্শ করেছিল। জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন করার ক্ষমতার অধিকারী ছিলেন বঙ্গবন্ধু। আর কে চৌধুরীর গ্রন্থ থেকে উদ্ধৃত করে ফারহানা আক্তার বলেন, রক্তে, বর্ণে,ভাষা, সংস্কৃতি এবং জন্মসূত্রে বঙ্গবন্ধু ছিলেন একজন দস্তর বাঙালি।
গবেষক প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধু দ্বিতীয় বিপ্লবের মাধ্যমে দুর্বৃত্ত আর চোরাকারবারীদের দ্বারা সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিবেশ থেকে দেশবাসীকে মুক্ত করার সংগ্রামে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন। দ্বিতীয় বিপ্লবের মূল বিষয় ছিল দুর্নীতি রোধ, জাতীয় ঐক্য রক্ষা, পরিবার পরিকল্পনা সহ সার্বিক নিরাপত্তা বিধান।
গবেষক মাজহারুল আনোয়ার বলেন, গ্রামীন অবকাঠামো এবং স্বনির্ভর গ্রাম বিনির্মাণের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী। সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন, রাজশাহী থেকে ড.মনোয়ার ও যশোর থেকে নূর এ আলম জাহিদ।