মঙ্গলবার ,৩০মে,২০২২ খ্রি. তারিখে মুজিব শতবর্ষ এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’র ১০২তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জানিপপ কর্তৃক আয়োজিত বর্ষকালব্যপী জুম ওয়েবিনারে এক বিশেষ্ সেমিনারের ২৯৯তম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। জানিপপ-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মেজর নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ, বিএনসিসিও’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন আবু তাহের খান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক মাহমুদা খানম মিলি,ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক কাজী ফারজানা ইয়াসমিন,নীলফামারী-জলঢাকা থেকে ফাতেমা-তুজ-জোহরা ও রংপুর থেকে আফসানা করিম।
সেমিনারে গেস্ট অব অনার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন,ইউএন ডিজএ্যাবিলিটি রাইটস্ চ্যাম্পিয়ন আবদুস সাত্তার দুলাল,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বঙ্গবন্ধু গবেষক ড. জেবউননেছা ও শিক্ষা ক্যাডারের সহযোগী অধ্যাপক গবেষক আবু সালেক খান এবং মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়,গোপালগঞ্জ এর বঙ্গবন্ধু ইনস্টিটিউট অব লিবারেশন ওয়ার এন্ড বাংলাদেশ স্টাডিজ এর অধীনে পিএইচডি গবেষণারত প্রশান্ত কুমার সরকার।
সভাপতির বক্তৃতায় ড.কলিমউল্লাহ বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন। তিনি আরো বলেন,বঙ্গবন্ধু নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে নিপীড়িত, নিষ্পেষিত মানুষের অধিকার আদায়ে লড়ে গেছেন আমৃত্যু।
আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন উদারনৈতিক আদর্শের ধারক। ছোটবেলা থেকেই তিনি তার দেশ এবং দেশের মানুষের জন্য আপন সুখ ও স্বার্থকে তুচ্ছ করতে শিখেছিলেন।
আবু তাহের খান বলেন,শৈশব থেকেই বঙ্গবন্ধুর মেধা-মননে জায়গা করে নিয়েছিল প্রতিবাদের ভাষা। যেখানে অন্যায় দেখেছেন সেখানেই কণ্ঠ ছেড়েছেন ন্যায়ের পক্ষে।
ড. জেবউননেছা বলেন,ক্ষুধা, দারিদ্র ও অশিক্ষার অন্ধকার থেকে মানুষের মুক্তির জন্য স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।
গবেষক আবু সালেক খান বলেন,বঙ্গবন্ধু নিজের জীবনের তোয়াক্কা না করে নিপীড়িত, নিষ্পেষিত মানুষের অধিকার আদায়ে লড়ে গেছেন আমৃত্যু।নিজের সুখ বিসর্জন দিয়ে বাঙালি জাতিকে এনে দিয়েছেন স্বাধীনতা।
প্রশান্ত কুমার সরকার বলেন,বঙ্গবন্ধু দেশ ও দেশের মানুষের জন্য আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
আফসানা করিম বলেন, উদারতা আর জনস্বার্থে নিজেকে উৎসর্গের জন্য বঙ্গবন্ধু বাঙালির অন্তরে বেঁচে থাকবেন যুগ-যুগান্তর।
দিপু সিদ্দিকী বলেন,সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশা বঙ্গবন্ধুর হৃদয়ের গভীরে স্পর্শ করত। তিনি অসহায় মানুষের জন্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য থেকে মুক্তির পথ খুঁজতেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন,১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ কী হবে- এ নিয়ে অনেক উপদেষ্টা ও বিজ্ঞজনেরা নোট লিখে দেন, কিন্তু কারো লেখাই পছন্দ হয়নি ওই রাজনৈতিক দার্শনিকের। বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সেদিন বলেছিলেন, বাঙালি জাতির মুক্তির লক্ষ্যে তোমার মনে যা চায়, তা-ই বলবা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেদিন তা-ই বলেছিলেন। ঐতিহাসিক ওই ভাষণের ৪৬ বছর পর ইউনেস্কো ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন যশোর থেকে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নুর এ আলম জাহিদ।
সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা’র সহযোগী অধ্যাপক,বিভাগীয় প্রধান ও ডেইলি প্রেসওয়াচ সম্পাদক দিপু সিদ্দিকী।
সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে সংযুক্ত ছিলেন,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত প্রকৌশলী শাফিউল বাশার,রাজশাহী থেকে ডা.মনোয়ার,পটুয়াখালী থেকে কেশব চন্দ্র হালদার ও বি-বাড়িয়া থেকে আইডিয়াল কিডস কেয়ার স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল বায়েজিদা ফারজানা।