পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দাবি করেন, আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান যেভাবে সত্যিকারের মুক্তির জন্য লড়াই করেছিলেন, তিনিও বর্তমানে সেভাবে লড়াই করছেন।
আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক ম্যান্ডেট জয়ের পরও সাংবিধানিকভাবে দেশ শাসনের অনুমতি না পাওয়ায় ১৯৭১ সালে পাকিস্তান কীভাবে দু’ভাগ হয়ে যায় সেটিও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এই প্রধান।
দেশে নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর থেকে লংমার্চ পালন করছে পিটিআই। হাকিকি আজাদি মার্চ-২ নামের এই লংমার্চ পঞ্চম দিনে গড়িয়েছে মঙ্গলবার। আর দেশজুড়ে অনুষ্ঠিত এই লংমার্চের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইমরান খান।
মঙ্গলবার গুঞ্জরাওয়ালায় পিটিআইয়ের সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইমরান খান। সেখানে উপস্থিত পিটিআইয়ের সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি। ইমরান খান বলেন, নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগকে ক্ষমতার কর্তৃত্ব দেওয়া হয়নি। এর ফলে পাকিস্তানের পূর্বাংশ তথা পূর্ব পাকিস্তান ‘বাংলাদেশ’ নামে স্বাধীন রাষ্ট্র হয়ে যায়।
পাকিস্তানি দৈনিক ডনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পিটিআই চেয়ারম্যান সমাবেশে তার বক্তৃতায় শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগকে ‘নির্বাচনী ম্যান্ডেট’ দিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছিল বলে দাবি করেন। যে কারণে দেশের পূর্বাঞ্চলের অর্ধেক পাকিস্তান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ডন বলছে, ইমরান খান বলেছেন, একজন চতুর রাজনীতিবিদ (জুলফিকার আলী ভুট্টো) ক্ষমতার লোভ সশস্ত্র বাহিনীকে তৎকালীন বৃহত্তম দল (আওয়ামী লীগের) বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন। যে দলটি নির্বাচনে জয় লাভ করেছিল। যার ফলে দেশ ভেঙে যায়।
ইমরান খান তার নিজ দল পিটিআইকে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাথে তুলনা করেছেন। একই সঙ্গে তার দাবি, বৃহত্তম এবং একমাত্র ফেডারেল দল হওয়া সত্ত্বেও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের আহ্বানে নতুন নির্বাচন দিতে অস্বীকার করছে সরকার।
তিনি বলেন, সবাই জানেন শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার দল ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে জিতেছিল। ক্ষমতা হস্তান্তর করার পরিবর্তে একজন চতুর রাজনীতিবিদ আওয়ামী লীগ এবং সেনাবাহিনীকে সংঘর্ষের পথে নামিয়ে দিয়েছিলেন… বর্তমানে নওয়াজ শরিফ এবং আসিফ জারদারি একই ভূমিকা পালন করছেন।