দেশের কয়েক এলাকা বন্যাকবলিত হয়েছে। বিশেষ করে সিলেট, সুনামগঞ্জ, রংপুর, কুড়িগ্রামসহ বেশকিছু এলাকায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। পানিতে ডুবে যাওয়ার কারণে অনেক ব্যাংকের শাখা-উপশাখা খুলতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না এমন শাখা-উপশাখা বন্ধ রেখে গ্রাহকদেরকে নিকটবর্তী শাখা থেকে জরুরি ব্যাংকিং সেবা দিতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সিলেট, সুনামগঞ্জ, রংপুর ও কুড়িগ্রামসহ অন্যান্য কয়েকটি জেলায় নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধির ফলে আকস্মিক বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। ব্যাংকের যেসব শাখা ও উপশাখা বন্যাজনিত কারণে স্বাভাবিক ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না, সেসব শাখা ও উপশাখাগুলোর কার্যক্রম বন্ধ রেখে গ্রাহকদেরকে নিকটবর্তী শাখা থেকে জরুরি ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেওয়া হলো।
তবে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার পর অনতিবিলম্বে গ্রাহকদেরকে সংশ্লিষ্ট শাখা ও উপশাখা থেকে ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এদিকে টানা ভারী বর্ষণ এবং ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেট ও সুনামগঞ্জের প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এ দুই জেলায় স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছে। লাখ লাখ মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
বেশিরভাগ এলাকার সঙ্গে সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। অনেক মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আটকে আছে। প্রয়োজনীয় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র অভাব দেখা দিয়েছে বন্যাদুর্গত এলাকায়। হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে পানি প্রবেশ করায় সেবাদান বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অসুস্থ অনেক মানুষকে যানবাহনের অভাবে হাসপাতালে নেওয়া যাচ্ছে না। শহর ও গ্রামের প্রায় সব সড়ক পানির নিচে ডুবে আছে।
এ অবস্থায় আক্রান্ত এলাকায় উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড ও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটও বন্যার্তদের উদ্ধার ও খাদ্য সহায়তায় কাজ করছে। বন্যার কারণে এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।