হাফিজুল ইসলাম লস্কর, সিলেট প্রতিনিধিঃ সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে। ঘনঘন হচ্ছে বৃষ্টি বাড়ছে বন্যার পানি। ঘনঘন অঝোর ধারার বৃষ্টি ও বন্যার পানি বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে সময় পার করছেন উপজেলা বেশ কিছু গ্রামের মানুষ। নির্ঘুম অবস্থায় রাত কাটানোর ফলে অনেকেই অসুস্থতা বোধ করছেন।
গোলাপগঞ্জ উপজেলার বুক চিরে বয়ে যাওয়া সুরমা কুশিয়ারার পানি বৃদ্ধি পাওয়াতে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে কম বেশি সব ক’টি ইউনিয়ন বন্যায় আক্রান্ত। বিশেষ করে বাঘা, উত্তর বাদেপাশা, ঢাকাদক্ষিণ এবং শরীফগঞ্জের অবস্থা খুবই শোচনীয়। ঢাকাদক্ষিণ সদরের বুক চিরে বয়ে গিয়েছিল কাগেশ্বরী নদী কিন্তু দখলদারদের কারণে কাগেশ্বরী নদী প্রায় বিলীন হওয়াতে শহর জোড়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, যার ফলে সপ্তাহখানিক সময় থেকে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। বর্তমানে পানি আরো বৃদ্ধি পাওয়াতে শহরের প্রত্যেকটি ঘরে ঢুকেছে বানের পানি। বাঘা ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এখলাছপুর, জালালনগর, লাল নগর, তুড়ুখ ভাগ, রুস্তমপুর, কান্দিগাও সহ প্রায় ১৮টি গ্রাম বন্যায় আক্রান্ত।
ইতোমধ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। উত্তর বাদেপাশা ইউনিয়নের আমকোনা, মুল্লারকোন, ছয়ঘরী, কেউটকোনা, ভরাউটসহ বেশ ক’টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি রয়েছেন। শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের ইসলামপুর, নুরজাহানপুর, কালিকৃষ্ণপুর, রাংজিয়ল, খাটকাই বাদেপাশাসহ প্রায় ১২টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। এ ছাড়া বুধবারীবাজার, আমুড়া, ভাদেশ্বর এবং ফুলবাড়ি ইউনিয়নে গতরাতে ৮/১০টি গ্রাম নতুন ভাবে আক্রান্ত হয়েছে।
ইতোমধ্যে উপজলা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যন নাজিরা বেগম শিলা, নির্বাহী অফিসার গোলাম ফারুক এলাকা পরিদর্শন করে প্রতিটি ইউনিয়নে বন্যাদুর্গত মানুষের জন্য ত্রান বরাদ্দের ঘোষনা দিয়েছেন। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বন্যার্তরা শঙ্কা ও ভীতি নিয়ে রাত কাটাচ্ছেন।
এদিকে গোলাপগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিস থেকে জানানো হচ্ছে বন্যার পানি আর বৃদ্ধি পেলে বাঘা এবং শরীফগঞ্জ ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হবে।