প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এবার বন্যাটা একটু বড় আকারে আসবে এমন আশঙ্কার কথা সরকারের সবাইকে আগেই জানিয়েছি। কাজেই সেভাবে আগে থেকেই বন্যা মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি আছে। বন্যায় মানুষের যাতে করে কষ্ট না হয়, সেজন্য যথাযথ ব্যবস্থা আমরা নিচ্ছি।
রোববার (১৯ জুন) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে সাফ চ্যাম্পিয়ন-২০২১ বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী জাতীয় ফুটবল দলের সংবর্ধনা ও আর্থিক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কাজ; সবই করছি। প্রশাসন, সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনী ও নৌ বাহিনী থেকে শুরু করে সব প্রতিষ্ঠান উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালাচ্ছে। সেই সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোও সহযোগিতা করছে। ত্রাণ ও উদ্ধার কাজ করছে। স্যালাইন ও পানির ট্যাবলেটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে, সাথে অন্যান্য ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। পানি নেমে গেলে যে পরিস্থিতি হতে পারে তার প্রস্তুতিও আমরা নিচ্ছি।
তিনি বলেন, আমরা পদ্মা সেতু এমন একটা সময় উদ্বোধন করতে যাচ্ছি, যখন একদিকে বন্যা শুরু হয়ে গেছে। এই বন্যা কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলেও যাবে। আমি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে সব থেকে ভয়াবহ বন্যা এবং দীর্ঘস্থায়ী বন্যা হয়। ঠিক সেই বন্যা শুরুর আগেই কিন্তু যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন করেছিলাম। সেটা উদ্বোধন করেছিলাম বলেই তখন সুবিধাটা হয়েছিল। উত্তরবঙ্গ থেকে পণ্য পরিবহন থেকে শুরু করে সব কাজগুলো করা যাচ্ছিল।
তিনি বলেন, বন্যায় যেহেতু আমাদের নদী অত্যন্ত ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে খরস্রোতা হয়ে ওঠে, যোগাযোগের সুবিধা থাকে না। কিন্তু সেই সময় আমাদের এই দক্ষিণ অঞ্চল প্লাবিত ছিল, উত্তর অঞ্চল থেকে আমরা সবসময় সহযোগিতা পেয়েছিলাম, সেই সময় বন্যা আমরা খুব সফলভাবে মোকাবিলা করেছিলাম।