সাতকানিয়া প্রতিনিধি মোহাম্মদ হোছাইন:
সাতকানিয়া আদর্শ মহিলা কলেজের ২০২২ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় সংবর্ধনা গত ১ নভেম্বর কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। কলেজের অধ্যক্ষ শিব শংকর শীলের সভাপতিত্বে বিদায় ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজ গভর্নিং বডির সভাপতি আলহাজ্ব নুরুল আবছার চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও সাংসদ প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী ও সংশ্লিষ্টের সুদৃষ্টির ফলে কলেজের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। গরিব শিক্ষার্থীদের জন্য কলেজের পক্ষ থেকে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। অত্র কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের কেউ মেডিক্যালে ভর্তির সুযোগ পেয়ে দারিদ্র্যের কারণে পড়াশোনা সম্ভব না হলে কলেজ বা নিজের সহায়তায় পড়াশোনার সমস্ত ব্যয়ভার বহন করা হবে। বক্তব্য শেষে তিনি শিক্ষার্থীদের যৌতুক ও মাদক বিরোধী শপথবাক্য পাঠ করান। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন নিউইয়র্ক টাইমস খ্যাত পৃথিবীর সেরা ২০০ বিজ্ঞানীদের মধ্যে স্থান করে নেওয়া সাতকানিয়া তথা বাংলাদেশের গর্ব অধ্যাপক ড. শাহাদাত হোছাইন। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি বলেন। বিশ্বের সাথে পাল্লা দিতে হলে প্রযুক্তির সাথে নিজেদের আপডেট করে সামনে অগ্রসর হতে হবে। তাই কলেজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও আইওটি নির্ভর রোবটিক সিস্টেম চালুর পদক্ষেপ নিতে হবে , প্রভাষক রুহুল কাদের ও প্রভাষক জান্নাতুন নাঈম পপির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য মোঃ আব্দুল মান্নান, অ্যাডভোকেট মোঃ ইলিয়াস, অধ্যক্ষ আবু মোহাম্মদ , মোঃ রকিবুল হক, মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, মোহাম্মদ ইসমাঈল, মোঃ নজরুল ইসলাম, সদ্য বিদায়ী কমিটির সদস্য জাফর উল্লাহ চৌধুরী, ইদ্রিস মিয়া। আরও বক্তব্য দেন সহকারি অধ্যাপক মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, প্রধান শিক্ষক সুমন বড়ুয়া, পরিমল কান্তি পাল, মুহাম্মদ ইলিয়াছ, মুহাম্মদ নুরুন্নবী ও ব্যাংকার মুহাম্মদ আইয়ুব প্রমুখ। অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ফরিদ আহমদ, শিক্ষক প্রতিনিধি মোঃ ছমি উদ্দিন, আয়েশা জোবাইরা, বিদায়ী ছাত্রী চুহী চৌধুরী, ছাত্রী নাইলা বিনতে আলম প্রমুখ। বিদায় অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা গান পরিবেশন শেষে গত মেয়াদের গভর্নিং বডির সদস্যদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। একইসাথে বিদায় শিক্ষার্থীদের পক্ষে থেকে কলেজ অধ্যক্ষ, গভর্নিং বডির সভাপতিকে সম্মাননা প্রদান এবং কলেজ সভাপতির বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের জন্য শিক্ষার্থীরা তাকে উন্নয়নের ফেরিওয়ালা আখ্যা দিয়ে মানপত্র প্রদান করেন।