বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কোচিং স্টাফ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত হয় বিশ্বকাপের আগে। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে ব্যাটিং, পেস বোলিং, ট্রেনার ও পারফরম্যান্স অ্যানালিস্ট কোচ নিয়োগের আন্তর্জাতিক বিজ্ঞপ্তি দেয় বিসিবি। দেশ-বিদেশের কোচরা আবেদন করেন জাতীয় দলের চাকরির জন্য। সেখান থেকে বাছাইকৃতদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। সেখান থেকে তিনজন করে ব্যাটিং ও পেস বোলিং কোচের নাম সুপারিশ করে কোচ নিয়োগ কমিটি।
বিসিবি পরিচালনা পর্ষদের সভায় সিদ্ধান্ত হয় সংক্ষিপ্ত তালিকা থেকে একজন করে কোচ চূড়ান্ত করার। ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস ও সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরীকে দেওয়া হয় এ দায়িত্ব। বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, ব্যাটিং কোচ হিসেবে ডেভিড হেম্প আর পেস বোলিং কোচ হিসেবে আন্দ্রে অ্যাডামসকে নিয়োগ দেওয়ার পক্ষে তারা।
থিলান সামারাভিরা, স্টুয়ার্ট ল ও ডেভিড হেম্পের নাম সুপারিশ করেছিল কোচ নিয়োগ কমিটি। পেস বোলিং বিভাগে ছিলেন করি কলিমোর, মাহাবুব আলী জাকি ও আন্দ্রে অ্যাডামস। বেতন-বোনাস, সুযোগ-সুবিধা, ছুটিছাটা এবং কাজে যোগ দেওয়ার সময় নিয়ে আলাপ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হয়।
বিসিবির একজন কর্মকর্তা জানান, স্টুয়ার্ট ল এবং সামারাভিরার চেয়ে হেম্প কম সুযোগ-সুবিধায় কাজ করতে রাজি। জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের পুলে ছিলেন তিনি। গত ডিসেম্বরে জাতীয় দলের ভারপ্রাপ্ত ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিউজিল্যান্ড সফর করেন। এইচপিতেও কাজ করেছেন গেল বছর। সেদিক থেকে হেম্প ক্রিকেটারদের কাছে পরিচিত।
মূলত কয়েক বছর ধরে জাতীয় দলের বিদেশি কোচিং স্টাফের পেছনে অতিরিক্ত খরচ হওয়ায় সাশ্রয়ী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি। সে কারণে স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথকে দিন হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব করা হলে তিনি রাজি হননি। যদিও ব্যাটিং আর পেস বোলিং কোচের পদ দীর্ঘমেয়াদি। এ কারণেই জাতীয় দলের সাবেক কোচ স্টুয়ার্ট ল, সাবেক ব্যাটিং কোচ সামারাভিরা ও এইচপিপ্রধান কোচ হেম্প আবেদন করেছিলেন।
এইচপির পেস বোলিং কোচ কলিমোর ও জাকির চেয়ে অ্যাডামসকে জাতীয় দলের জন্য বেশি ফিট মনে করা হচ্ছে। কারণ নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলের সঙ্গেও কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। ২০১৫ সালে খেলা ছেড়ে কোচিং পেশায় যোগ দেন তিনি। ৪২ ওয়ানডে খেলে ৫৩ উইকেট শিকারি অ্যাডামস তাসমানের নিউ সাউথ ওয়েলসে কোচ হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেন। হোয়াইল ফার্নসের বোলিং কোচ ছিলেন।
নিউজিল্যান্ড নারী দলে পেস বোলিং কোচ হিসেবে গিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে। খণ্ডকালীন পেস বোলিং কোচ ছিলেন নিউজিল্যান্ড জাতীয় দলেও। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি২০ সিরিজে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ৪৮ বছর বয়সী অ্যাডামস একটি টেস্ট, চারটি আন্তর্জাতিক টি২০ ম্যাচ খেলেছেন। ১৭৩টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচে ৪ হাজার ৫৪০ রান ও ৬৯২টি উইকেট শিকার তাঁর। ১৬৫ লিস্ট এ ম্যাচে ১ হাজার ৫০৪ রান ও ২০৯টি উইকেট নেন তিনি। ইংলিশ কাউন্টিতে নটিংহ্যাম্পশায়ার, হ্যাম্পশায়ার ও এসেক্সে খেলোয়াড় ছিলেন কিউই এ কোচ।