বাংলাদেশ এবং ওমান কূটনৈতিক ও সরকারি পাসপোর্টধারীদের ভিসা মওকুফে নিজেদের মধ্যে একটি চুক্তি সই করেছে।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ঢাকা ও মাস্কাটের মধ্যে দ্বিতীয় ফরেন অফিস কনসাল্টেন্ট (এফওসি) বৈঠক শেষে এ চুক্তি সই করা হয়।
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের উপস্থিতিতে ঢাকার পক্ষে চুক্তি সই করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব তরুণ ক্রান্তি শিকদার। অন্যদিকে মাস্কাটের পক্ষে চুক্তি সই করেন ওমানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি শেখ খলিফা আল হার্থি।
চুক্তি সই করার পর পররাষ্ট্রসচিব এবং ওমানের আন্ডার সেক্রেটারি সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। সেসময় আন্ডার সেক্রেটারি জানান, খাদ্য নিরাপত্তা; বিশেষ করে সবজি ও ফল আমদানিতে ওমানের সহযোগিতা থাকবে। এছাড়া এনার্জি খাত ও ফিসারিজসহ আরও কয়েকটি খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী ওমান।
এসময় শ্রমভিত্তিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে ওমান বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নেয়ার আগ্রহের কথাও জানান আন্ডার সেক্রেটারি।
আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, এটা আমাদের দ্বিতীয় কমিটির বৈঠক। এ কমিটি ২০১৫ সালে গঠন করার পর গত বছর আমরা ভার্চুয়ালি বৈঠক করেছিলাম। দু’বছরের মধ্যে আমরা দু’বার বৈঠক করলাম। এটা দু-দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য স্মরণীয় বিষয়।
বাংলাদেশে বিনিয়োগ প্রসঙ্গে ওমানের আন্ডার সেক্রেটারি বলেন, আমাদের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার সুযোগ রয়েছে। ওমানের ইনভেস্টমেন্ট অথরিটি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আগ্রহ রয়েছে। এটা আমার শেষ সফর নয়। আমি আবার আসব। বিনিয়োগ ইস্যুতে ওমানের হেড অফ চেম্বার অব কমার্স ডেলিগেশন বাংলাদেশে আসবে।
পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, খুব ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। আমরা দু-দেশের মধ্যে বেশি সুযোগ কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা করেছি। লেবার ইস্যু নিয়ে আলোচনা করেছি, ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট ও সমন্বিত অংশীদারমূলক সম্পর্ক তৈরির বিষয়ে আলোচনা করেছি। আমরা অনেক সুযোগ দেখতে পাচ্ছি। বেসরকারি ও ব্যবসা খাতে সম্ভাবনা রয়েছে দু’দেশের।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, বাংলাদেশের রয়েছে ভিশন-২০৪১ এবং ওমানে রয়েছে ভিশন-২০৪০। অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের মিল রয়েছে। আমরা উভয়পক্ষ একসঙ্গে কাজ করার বিষয়ে একমত হয়েছি।
এর আগে তিন দিনের সফরে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার পর ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান শেখ খলিফা আল হার্থি। পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।