রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। সরস্বতী পূজা বাংলাদেশে অন্যতম জনপ্রিয় একটি ধর্মীয় উৎসব। ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায় নির্বিশেষে এই উৎসবে সবার অংশগ্রহণে দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও ঐতিহ্যে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে। জ্ঞানচর্চার মাধ্যমেই মানবসভ্যতা ক্রমান্বয়ে বিকশিত হচ্ছে।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সরস্বতী পূজা উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান সরস্বতী পূজা উপলক্ষে আমি দেশের হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।
তিনি বলেন, জ্ঞানার্জনে সরস্বতী দেবীর কৃপা অর্জনের লক্ষ্যেই ভক্তরা এ পূজা করে থাকেন। জ্ঞানালোকে উদ্ভাসিত হয়ে দেশের প্রতিটি মানুষ সাম্প্রদায়িকতা, অজ্ঞানতা, কূপমণ্ডূকটা থেকে মুক্ত হয়ে একটি কল্যাণকর ও উন্নত সমাজ গঠনে এগিয়ে আসবে- এটাই সবার প্রত্যাশা।
আবদুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। আবহমান কাল থেকে এ দেশের মানুষ পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের মধ্য দিয়ে নিজ নিজ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান পালন করে আসছে। দেশে বিদ্যমান সম্প্রীতির এই সুমহান ঐতিহ্যকে আরও সুদৃঢ় করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।
তিনি বলেন, মুজিবশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা আলোকিত বাংলাদেশ গড়তে বদ্ধপরিকর। আমি আশা করি, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলতে সক্ষম হবো। আমি জ্ঞানালোকের প্রতীক সরস্বতী পূজা উৎসবের সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।