২৮ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাইডেনের কথিত উপদেষ্টা মার্কিন প্রবাসী মিয়ান আরিফীকে এনে সংবাদ সম্মেলনে যেসব কথা বলানো হয়েছে তার সবটাই সাবেক সেনা কর্মকর্তা লে. জেনারেল হাসান সারওয়ার্দী শিখিয়ে দিয়েছিলেন। গ্রেপ্তারের পর গোয়েন্দা পুলিশের কাছে তিনি তা স্বীকার করেছেন বলে দাবি করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ জানান, সারওয়ার্দীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে কী তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তা পরে জানানো হবে।
সারওয়ার্দীকে গ্রেপ্তারের প্রেক্ষাপট তুলে ধরে এসময় তিনি বলেন, গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশের দিন বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে পুলিশের ৪১ সদস্য আহত এবং এক সদস্য নিহত হন। ওইদিন সন্ধ্যায় সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাসান সারওয়ার্দী এবং বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে কিছু সংবাদমাধ্যমের সামনে মিয়া আরেফী নামে একজনকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের উপদেষ্টা পরিচয় দেয়া হয়। মিয়া অরেফী বাংলাদেশের পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন ও বিচার বিভাগের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের কাছে সুপারিশ করেছেন বলে বক্তব্য দেন।
হারুন অর রশীদ বলেন, এ ঘটনায় মিয়াঁ আরেফীকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, আরেফী এসব বলতে চাননি। বাসা থেকে নিয়ে আসার সময় হাসান সারওয়ার্দী তাকে এসব কথা বলার জন্য শিখিয়ে দিয়েছিলেন। আর তাকে সহায়তা করেছেন ইশরাক ও অ্যাডভোকেট বেলাল নামে একজন।
আরেফীর এমন বক্তব্যের পর রাজধানীজুড়ে বাসে অগ্নিসংযোগসহ আরও বেশ কয়েকটি সহিংসতার ঘটনা ঘটে উল্লেখ করে হারুন বলেন, এ ঘটনায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে পল্টন থানায় একটি মামলা (নং-৫৬) দায়ের করা হয়েছে। আমরা এ মামলার দুই নম্বর আসামি সারওয়ার্দীকে গ্রেপ্তার করেছি।
ডিবিপ্রধান বলেন, আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনে তাকে রিমান্ডে আনব। রিমান্ডে এনে তারা কী ষড়যন্ত্র করেছিলেন জানার চেষ্টা করব। তারা মিয়ান আরেফীকে বিএনপি কার্যালয়ে এনে দেশের বিরুদ্ধে, সরকারের বিরুদ্ধে, পুলিশ-আনসার-র্যাব বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন, সবকিছু আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত জানাব।