ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু করায় রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিকল্প উৎস হিসেবে সৌদি আরব ও আরব আমিরাত থেকে জ্বালানি ও তেল আমদানির কথা ভাবছে ওয়াশিংটন। এ নিয়ে কথা বলতে চেয়ে দুদেশের নেতাদেরকে ফোনেই পাচ্ছেন না যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদপত্র দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের একটি প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বুধবার ব্রিটিশ সম্প্রচারমাধ্যম বিবিসি এই খবর দিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা ওয়াল স্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের যুবরাজ শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কথা বলার চেষ্টা করছেন। তিনি ফোনালাপ আয়োজনের নির্দেশ দেন। এ লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধ উভয় নেতাই প্রত্যাখ্যান করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা গার্ডিয়ানকে বলেন, দুই যুবরাজের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে চাচ্ছেন কেউ। কিন্তু সেটি সম্ভব হচ্ছে না।
সৌদি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এর কারণ উদ্ঘাটনের চেষ্টা করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। দেশটির কর্মকর্তারা সংবাদপত্রটিকে বলেছেন, ইয়েমেন যুদ্ধের জন্য সৌদি নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট যুক্তরাষ্ট্রের আরও সাহায্য চায়। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ার নিশ্চয়তাও চায় সৌদি।
২০১৮ সালে সৌদি রাজতন্ত্রের সমালোচক জামাল খাসোগি হত্যাসহ যুক্তরাষ্ট্রে মোহাম্মদ বিন সালমানের নামে একাধিক মামলা করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় সৌদি আরবের কঠোর সমালোচনা করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য সৌদিকে মূল্য চোকাতে হবে বলে জানান বাইডেন।
বাইডেনের সঙ্গে কথা বলতে অনীহার এটাই বড় কারণ।
সৌদি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইয়েমেন যুদ্ধে হস্তক্ষেপের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও সমর্থন চায় সৌদি আরব। এ ছাড়া ২০১৮ সালে ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট ও সৌদি প্রশাসনের সমালোচক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্রে যুবরাজ সালমানের বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছিল, তা প্রত্যাহার চায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি।