১৯৭১ সালের মার্চ মাস জুড়ে তীব্র অসহযোগ আন্দোলন গড়ে ওঠে বাংলাদেশজুড়ে। এমনকি পাকিস্তানি সৈন্যবেষ্টিত সেনানিবাসগুলোতেও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া শুরু করে স্থানীয়রা। জাতিসংঘের উদ্দেশ্য আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ মুজিবুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন- বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছা অনিচ্ছাই আজ শেষ কথা। জনগণকে আমরা যে নির্দেশ দিয়াছি, তা প্রতিপালিত হইতেসে। পাকিস্তানিরা সর্বত্র ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করিয়া বিদেশিদের ভীত-সন্ত্রস্ত করিয়া দেশত্যাগে বাধ্য করিতেসে।
এদিকে নিউইয়ক-প্রবাসী বাংলাদেশী ছাত্রছাত্রীরা বাংলাদেশে পাকিস্তানি জান্তাদের গণহত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। এরপর তারা জাতিসংঘের মহাসচিবের কাছে একটি স্মারকলিপি পেশ করে। সাধারণ মানুষের জান-মাল রক্ষায় জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ কামনা করে তারা।
অন্যদিকে, দেশের সিভিল সার্ভিসে কর্মরত দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ মানিয়া যাবতীয় কার্যাবলীর পরিচালনার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন। উন্নয়ন ও রাজস্ব বিভাগীয় অফিসারদের এক সভার পর এই ঘোষণা দেন তারা। তারা বলেন, জাতীয় পরিষদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতার নির্দেশ অনুসারে কাজ করিয়া যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হইয়াছে।