আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের উত্থাপিত বাজেটের মোট ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছে জনপ্রশাসন খাত। এরপর পর্যায়ক্রমে রয়েছে শিক্ষা ও প্রযুক্তি, পরিবহন ও যোগাযোগ, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন, কৃষি, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাত।
বৃহস্পতিবার বিকেলে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব পেশ করেন।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটের খাতভিত্তিক বরাদ্দে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছে জনপ্রশাসন খাত। পরিচালন ও উন্নয়ন বরাদ্দের ভিত্তিতে মোট বাজেটে ২২ দশমিক ১ শতাংশ খরচ হবে এ খাতে। এ খাতে মোট ১ লাখ ৭৫ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাত। মোট বাজেটের ১৪ শতাংশ খরচ হবে এ খাতে, যেখানে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৭ কোটি টাকা।
তৃতীয় অবস্থানে আছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাত। এ খাতে বাজেটের ১০ দশমিক ৪ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা টাকার অঙ্কে ৮২ হাজার ৯১৮ কোটি টাকা।
চতুর্থ অবস্থানে আছে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন খাত। এ খাতে মোট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪৭ হাজার ৯৫৩ কোটি টাকা।
এবারের বাজেটে পঞ্চম অবস্থানে আছে কৃষি খাত। এতে বাজেটের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। এ কৃষি খাতে মোট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৪৭ হাজার ৩৩২ কোটি টাকা।
এর বাইরে সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ, প্রতিরক্ষা খাতে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ, স্বাস্থ্য খাতে ৫ দশমিক ২ শতাংশ, জনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা খাতে ৪ দশমিক ২ শতাংশ এবং জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে মোট ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বরাদ্দের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে এবারের (২০২৪-২৫) বাজেটের আকার বাড়ছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এটি দেশের ৫৩তম, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ২৫তম ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট।
বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা থাকছে পাঁচ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা, যা গত অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকা বেশি। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) ধরা হয়েছে দুই লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরে ছিল ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা।
নতুন বাজেটে সামগ্রিক ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে দুই লাখ ৮৩ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা।
উল্লেখ্য, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ছিল ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। পরে এটি সংশোধন করে ৭ লাখ ১৪ হাজার ৪১৮ কোটি টাকা করা হয়।