বাণিজ্যিক ভাবে বন্যপ্রাণী প্রদর্শন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে
মাটির উর্বরাশক্তি রক্ষাকারী প্রাকৃতিক অনুজীবসহ শস্য ও সবজির ওপর নির্ভরশীল খাদ্যশৃঙ্খলের বিভিন্ন পাখি ও প্রাণী আশঙ্কাজনক হারে মরার কারণে মানুষের জীবন ও টেকসই জীবিকার ওপর হুমকি ক্রমাগত বেড়েই চলেছে।
জাতীয় অর্থনীতি ও পরিবেশের ভারসাম্য টিকিয়ে রাখতে দেশের বনজ সম্পদ সংরক্ষণ, সম্প্রসারণ ও বনজ সম্পদের উন্নয়ন অত্যন্ত জরুরি। আর বাংলাদেশে রয়েছে বনায়নের বিপুল সম্ভাবনা। এ সম্ভাবনাকে সুষ্ঠুভাবে কাজে লাগাতে হবে।
করণীয়
* দেশীয় প্রজাতির বৃক্ষরোপণ,
* বিনামূল্যে বীজ ও চারা সরবরাহ
*নদীর কিনারা ও সড়কের দুপাশে গাছ লাগানো,
* বনভূমির গাছকাটা রোধ,
* অপরিণত গাছ কাটা বন্ধ করা
* বিদেশী প্রজাতির গাছ আমদানি বন্ধ
* সরকারি বনাঞ্চলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
*বনাঞ্চল সংরক্ষণে নতুন নতুন জায়গা অধিগ্রহণ এবং পাহাড় কর্তন রোধ করা।
আসুন আমরা সকলেই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সর্বস্তরের বনাঞ্চল রক্ষায় জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলি।
আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞ হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ডক্টর ফিরোজ জামান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রাণবিদ্যা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ডক্টর মনিরুল হাসান খান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রুরাল এন্ড ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্টের অধ্যাপক ডক্টর আদিল মুহাম্মদ খান, পরিবেশবিদ ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক স্থপতি মাহমুদুর রহমান পাপন, আইডিয়াস’র পরিচালক পরিকল্পনাবিদ রাসেল আহমেদ।
এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাতৃভূমি গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এবিএম হানিফ মাস্টার, প্রত্যাশার বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন, সবুজ আন্দোলন পরিচালনা পরিষদের মহাসচিব মহসিন শিকদার পাভেল, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি)’র সাংগঠনিক সম্পাদক উপাধ্যক্ষ নুরুজ্জামান হীরা, বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টির সদস্য সচিব ফাতেমা তাসনিম, গণঅধিকার পেশাজীবী পরিষদের সহ-সভাপতি ইমরান হোসেন প্রমূখ।