মুহাম্মদ আলী,বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:
বান্দরবান জেলা সদরের পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বালাঘাটা ওছমান বিন আফ্ফান (রা:)নূরানী একাডেমীর বার্ষিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা সভা নুরানী একাডেমী’র মাঠ প্রাঙ্গনে ১২ডিসেম্বর সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উক্ত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পৌরসভার মেয়ের মোহাম্মদ ইসলাম বেবী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ নাছির উদ্দীন, আইএফআইসি ব্যাংক বালাঘাটা বান্দরবান শাখার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মুমিনুল হক, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছৈয়দ মোঃ সালাউদ্দিন, একাডেমি পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম তারেকুর রহমান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাডেমি পরিচালনা কমিটির সভাপতি আহমদ হোসেন। এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক মুহাম্মাদ আলী, ছাত্র লীগের হাকিম চৌধুরী, ওছমান বিন আফ্ফান (রা:) নুরানী একাডেমির প্রধান শিক্ষক মাওলানা মোঃ আব্দুল্লাহ। হেফজখানের প্রধান শিক্ষক হাফেজ মো: রশিদ আহমেদ,পশ্চিম বালাঘাটা জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব মাওলানা মোবাশ্বের বিন আজহার,
মেয়রের একান্ত সহকারী মো: রাসেল,আতিক ইব্রাহীম, রুবেল প্রমুখ।
প্রধান অতিথি বক্তব্যে বলেন, বান্দরবান একটি সম্প্রীতির জেলা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেই এই জেলায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু করে, পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বান্দরবানে ইসলামী শিক্ষার প্রসারে বিভিন্ন ইসলামী প্রতিষ্ঠানগড়তে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার মসজিদ ভিত্তিক ইসলামিক শিক্ষার ব্যাবস্থা করেছে যাতে সকলেই ধর্মীয় জ্ঞান অর্জনে অধিকার লাভ করতে পারে, মসজিদ ভিত্তিক ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগপ্রাপ্ত ধর্মীয় শিক্ষকদের সম্মানীর ব্যবস্থা করে সরকারি প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ফাউন্ডেশন। সারাদেশে ৫৬০টি দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ নির্মাণ এর একটি বড় দৃষ্টান্ত, অতিথিরা আরো বলেন ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার পাশাপাশি সংস্কৃতি চর্চা ও খেলাধুলার বিকল্প নাই।
একাডেমির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে প্রাথমিক বাংলা ও ইংরেজি শিক্ষার পাশা-পাশি প্রত্যেককেই ধর্মীয় শিক্ষায় দক্ষতা অর্জন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এরই প্রেক্ষিতে ওছমান বিন আফ্ফান (রা:) নুরানী একাডেমি সরকারি পাঠ্যপুস্তকের পাশা-পাশি ইসলামিক শিক্ষার প্রতি বিশেষ জোর দিয়েছে। শিশু কিশোরদের মানুষিক বিকাশে পাঠ্যপুস্তকের বাইরেও ক্রিড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ে দক্ষতা অর্জন তার সঠিক বেড়ে উঠার জন্য খুবই জরুরি,এরই ধারাবাহিকতায় মাদ্রাসায় প্রতি বছর সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ কারী প্রতিযোগিদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। কোরআন, হামদ-নাত,কবিতা, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ’সহ বিভিন্ন ইভেন্টে ৭৫টি পুরস্কার এবং একাডেমির ছাত্রছাত্রী অবিভাবকদের ও শিক্ষকদেরকে মাঝেও বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিদের সম্মাননা ক্রেস্ট উপহার প্রদান করা হয়।