মুহাম্মদ আলী,স্টাফ রিপোর্টার: জরুরী বিষয়ে অবশ্যই ডাক্তারের স্বরনাপন্ন হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরোজ। ১৯ডিসেম্বর সোমবার সকালে পর্যটন মোটেল কনফারেন্স হলে তারুম ডেভেলপমেন্ট (টিডিও) বান্দরবানের আয়োজনে ( Documention of Traditional Health Practices of Chittagong Hill Tracts (DOTH-CHT) প্রকল্পের উদ্যোগে পাহাড়ীদের প্রথাগত ঐতিহ্যগত জ্ঞান এর তথ্য যাচাই ও প্রচারণামূলক কর্মশালা অনুষ্টিানে তিনি এ কথা বলেন। বান্দরবান জেলার বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যগত, প্রথাগত,বিশ্বাস বিভিন্ন লাতাপাতা, গাছ-গাছালী শিকড় দিয়ে ঔষধ তৈরী করে যারা গ্রামে রোগীদেরকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন এধরনের প্রথাগত কবিরাজ,শিক্ষার্থী,কার্বারী, স্থানীয় চিকিৎসা জ্ঞান আছে এরকম প্রায় ৪০জন অংশগ্রহণ কারী উপস্থিত ছিলেন। তারুম ডেভেলপমেন্ট এর কার্যনির্বাহী সদস্য এ্যাডভোকেট মাধবী মারমা”র সভাপতিত্বেমপ্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সাজিয়া আফরোজ। অনুষ্টানে গবেষণার মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন Documention of Traditional Health Practices of Chittagong Hill Tracts (DOTH-CHT) প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী প্রতিভা তঞ্চঙ্গ্যা, অনুষ্টানে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট গবেষক, লেখক শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মংসানু চৌধুরী,অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২০২২ সালের জয় বাংলা ইয়ুথ পুরস্কার জয়ী বিশিষ্ট গবেষক,লেখক ইয়াং ঙান ম্রো। অধ্যাপক মংসানু চৌধুরী বলেন সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন জাতিগোষ্টিগুলো আছে, যে সমস্থ বিষয়গুলো সমাজে প্রভাবিত করতে পারে। পৃথিবী ব্যাপী এখনো ৮০শতাংশ মানুষ প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন বলে জানান তিনি। তিনি আরো বলেন আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান শুরু হওয়ার পর যে আমাদের পরম্পরা ঐতিহ্যগত চিকিৎসা পুরোপুরি শেষ হয়ে যায়নি। এগুলো সংরক্ষণ করে চর্চা করতে হবে। প্রধান অতিথি বলেন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষুধ খাওয়া ঠিক না। পাহাড়ের ঐতিহ্য আদা, তুলসী পাতা, নীমপাতা বিভিন্ন ঔষুধী ব্যবহার কমে যাচ্ছে, যে গুলো বিজ্ঞান সম্মত, বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত সেগুলো চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে, সংরক্ষন করতে হবে। যারা জুমে থাকে,জুম চাষ করে তাদের রোগব্যাধি কম ,এখানকার প্রাকৃতিক খাদ্য খুব ভালো,বংশ পরস্পরাই ঐতিহ্যগুলো ধরে রাখবো তবে জরুরী বিষয়ে অবশ্যই ডাক্তারের শ্বরনাপন্ন হতে হবে, হাসপাতালে আসতে হবে। অনুষ্টানে পার্বত্য চট্টগ্রামে ১১টি জাতিগোষ্টির মধ্যে ৯টি জাতিগোষ্টির প্রথাগত, চিকিৎসাগত জ্ঞান, কোভিড করোনা প্রত্যন্ত অঞ্চলে কিভাবে মোকাবেলা করা হয়েছে সে সম্পর্কে বিভিন্ন জাতিগোষ্টির সাথে অংশগ্রহণমূলক তথ্য সংগ্রহ করে গবেষণা করা করা হয়েছে। সুস্থ থাকার জন্য,ভালো থাকার জন্য, প্রকৃতির কাছাকাছি কিভাবে থাকা যায় প্রথাগত পজিটিভ বিষয়গুলো আরো চর্চার মাধ্যমে কিভাবে ঐতিহ্য সংস্কৃতিকে পুনরুদ্ধার করা যায় সে ব্যাপারে নিরলসভাবে কাজ করার আহবান জানানো হয়।