মুহাম্মদ আলী,স্টাফ রিপোর্টার:
জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় পার্টি বান্দরবান জেলা শাখার আয়োজন ১৪জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে বান্দরবান জেলা স্টেডিয়াম জামে মসজিদে এক মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শওকত জামান মিশুক, জাতীয় পার্টি বান্দরবান জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শাহজাহান। এছাড়াও মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন জাপা নেতা নুরুল আলম, জমির আহমেদ, শাহ আলম, ছাত্র সমাজ নেতা মোঃ আলী, মোঃ রাকিব হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক পার্টির নেতা নাছিরুল আলম মান্না, সরওয়ার গাজী, শ্রমিক পার্টির নেতা মোঃ মিলন, মো: হামিদ, যুব সংহতির নেতা কাজী সাইফুদ্দীন, মোঃ নাসির, মোঃ জসিম ও বোরহান উদ্দিন সহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে দীর্ঘ ৯ বছরের সফল রাস্ট্র নায়ক জাতীয় পার্টির সাবেক মাননীয় চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর আত্মার মাগফিরাত কামনা সহ সকল মুসলিম উম্মাহ, সমগ্র মানবজাতির কল্যাণ কামনায় দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা কবির চৌধুরী। মিলাদ ও দোয়া মাহফিল শেষে উপস্থিত সকলের মাঝে তাবরুক বিতরণ করা হয়। উল্লেখ্য যে গত ২০১৯ সালের এই দিনে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অবিভক্ত ভারতের কোচবিহার জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। পরে তার পরিবার রংপুরে চলে আসে। রংপুরেই প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে ১৯৫০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে ১৯৫২ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এরশাদ। ১৯৬৯ সালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে পদোন্নতি পেয়ে ১৯৭১-৭২ সালে সপ্তম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টে অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তান থেকে প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৭৫ সালের ফেব্রুারিতে তিনি ব্রিগেডিয়ার পদে পদোন্নতি লাভ করেন। ওই বছরই আগস্ট মাসে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে তাকে সেনাবাহিনীর উপপ্রধান হিসেবে নিয়োগ করা হয়। ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এরশাদকে সেনাবাহিনী প্রধান পদে নিয়োগ দেয়া হয়। ১৯৭৯ সালে তিনি লেফটেন্যান্ট জেনারেল পদে পদোন্নতি লাভ করেন। বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে ক্ষমতা থেকে হটিয়ে ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন। পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট হন। গণআন্দোলনের মধ্যে ১৯৯০ সালের ৬ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন। ১৯৯১ সালে এরশাদ গ্রেফতার হন। ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে জেলে বন্দী থাকা অবস্থায় এরশাদ ৫টি করে আসনে বিজয়ী হন। ১৯৯৭ সালের ৯ জানুয়ারি জামিনে মুক্ত হন।