বিশেষ প্রতিনিধি:
“প্রেম মানেনা কোন বাধা। মানে না কোন জাত কিংবা সংসারও! আত্মীয়স্বজনের মাইয়া ছেড়ে নিজ ধর্ম ত্যাগ করে মুসলিম ছেলেকে বিয়ে করে এখন আলোচনায় (অনন্যা বড়ুয়া) বর্তমান আয়শা আক্তার(২৯) সাং- বাজালিয়া মনেয়াবাদ, চট্টগ্রাম। বর্তমান ঠিকানা উত্তর পতেঙ্গা, ডাকঘর পতেঙ্গা -৪২০৪, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম। এবং চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া মনেয়াবাদ ইউনিয়নের মনসুর আলী। মেয়েটি বৌদ্ধ ধর্মের ছিলেন ছেলেটি মুসলিম সম্প্রদায়ের। দুজনেই একাই অপরকে ভীষণ ভালবাসেন। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে দুজনে সুখী সংসার চলেছিল। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে (অনন্যা বড়ুয়া) বর্তমানে আয়শা আক্তার বয়স (২৯) ও ৩৫ বছরের যুবক মনসুর আলী। তাদের সুখী সংসারের পথে যত বাধা মাতা-কণা বড়ুয়া, পিতা-অঞ্জন বড়ুয়া,তারা উভয়ই আয়শা আক্তার ও মনসুর আলীর সুখী সংসারে অশান্তি সৃষ্টির জন্য উঠে পরে লেগেছে। আয়শা মনসুর জুটির তাদের ভালোবাসার ফল নিদর্শন স্বরূপ ৬মাসের একটি ফুটফুটে শিশু পুত্র সন্তান রয়েছে। সেই ফুটফুটে শিশুটির জীবনেও বর্তমানে বিপদের সম্মুখীন। ভুক্তভোগী অসহায় হতভাগ্য স্বামী মনসুর আলী জানান, আমরা একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করার পর বান্দরবানের বালাঘাটা বাসা ভাড়া করে আমাদের সুখের সংসার চলছিল। বিগত ০৬নভেম্বর-২০২২ইং টমটমগাড়ি কেনার জন্য আমার স্ত্রী আয়শা আক্তার আমার জিম্মায় বান্দরবান বালাঘাটা গ্রামীণ ব্যাংক হতে নগদ ৭০হাজার লোন গ্রহণ করে, সেই সংবাদ আমার শাশুড়ি মা কণা বড়ুয়া জানতে পেয়ে শাশুড়ের শারীরিক ভাবে খুব বেশি অসুস্থ বাঁচা মরার প্রশ্ন ? এই কথা বলে আমার স্ত্রী আয়শা আক্তার কে মোবাইলের মাধ্যমে খবর পাঠায় সেই খবর পেয়ে আমার স্ত্রী তার মায়ের কু-পরামর্শে লোন এর ৭০হাজার টাকা সহ আমার টমটমগাড়ি কেনার জন্য আগের জমানো ত্রিশ হাজার টাকাসহ মোট ১লক্ষ টাকাসহ কাপড় চোপড় এবং শিশু সন্তান কে নিয়ে আমার স্ত্রী তার মায়ের বাড়িতে তার বাবা কে দেখতে যায়। সেখানে যাওয়ার পর আমার স্ত্রীকে কৌশলে তার মা বাবা তাকে আটকে রাখে, মোবাইল ফোন নিয়ে ফেলে আমার সাথে যেন যোগাযোগ করতে না পারে।
উল্লেখ্য যে: বান্দরবানের বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট হলফনামায় অনন্যা বড়ুয়া বলেছেন আমি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী হলেও ইসলাম ধর্মের প্রতি ক্রমান্বয়ে অনুরক্ত হয়ে পড়েছি। ইসলাম ধর্মের কালেমা, নামাজ, রোজা,হজ্জ্ব, যাকাত ইত্যাদি কাজ পরকালে মুক্তির একমাত্র পথ। তাই আমি পরকালের মুক্তির জন্য ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে আমার পূর্বের বৌদ্ধ ধর্ম পরি ত্যাগ করলাম এবং পবিত্র কালেমা “লা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ” উচ্চারণ করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হলাম। আমি আমার পূর্বের নাম অনন্যা বড়ুয়া পরিত্যাগ করলাম এবং আয়েশা আক্তার নাম গ্রহণ করলাম। আমাকে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হতে কেহ প্ররোচিত করে নাই। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট এর সম্মুখে হাজির হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে। হলফনামা ক্রমিক নং -১৫১, তারিখ -১১-৯-২০২২ইং। আয়শা আক্তার মনসুর আলীর ধর্মান্তরিত স্ত্রী। বিবাহে দেনমোহরের পরিমাণ ২লক্ষ টাকা, নগদ পরিশোধ ৫০হাজার টাকা বিবাহের তারিখ ২৫-১০-২০২২ইং। মনসুর আলী জানান, দুই বছর আগে কণা বড়ুয়া বড় মেয়ে অনন্যার বড়ুয়ার সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে দুজনের সম্মতিতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে অনন্যা বড়ুয়ার নতুন নাম রাখা হয় আয়শা আক্তার। পরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বান্দরবানের বালাঘাটা ভরাখালী এলাকায় ফিরে আসেন তারা।
অন্যদিকে অনন্যা বড়ুয়া নিখোঁজ হওয়ার পর তার বাবা অঞ্জন বড়ুয়া ও মা কণা বড়ুয়া বাদী হয়ে অপহরণের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অভিযোগের ভিত্তিতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। যা সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন। অনন্যা ওরফে আয়শা আক্তার কান্না জড়িত কণ্ঠে বলছিলেন- সে তার বাবা মায়ের কাছে যাবে না। আইনগত ভাবে মনসুর আলী তার বৈধ স্বামী, তার কাছেই থাকবে সে। এবিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এলাকার চেয়ারম্যানের পা-ধরে কান্না করে মনসুর আলী বলেন আমি আমার বিবাহিত স্ত্রী ও সন্তানকে ফিরে পাওয়ার আকুতি জানিয়েছেন ন্যায় বিচার প্রার্থী ভুক্তভোগী অসহায় হতভাগ্য স্বামী মনসুর আলী। এবিষয়ে অনন্যা বড়ুয়ার পিতা মাতার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
মনসুর আলী জানান, ‘আমি যদি অপহরণ করে থাকতাম আমার স্ত্রীকে নিয়ে আমি লুকিয়ে থাকতাম। আমার স্ত্রী সবার সামনে চিৎকার করে বলছে- সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে। তারপরও কেউ আমাদেরকে সাহায্য করতে আসেনি।’ মনসুর আলী দাবি করেন,তার স্ত্রীর বয়স ২৯ বছর পূর্ণ হয়েছে। মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় আইনত তাদের ধর্মান্তরিত ও বিয়ের বৈধতা আছে। আমাদের সুখী সংসারে আমার ১টি পুত্র সন্তান রয়েছে। আমি আমার স্ত্রী ও আমার সন্তান কে ফিরে পেতে চাই।
একটি সুখী সংসারে অশান্তির বীজ রোপণ কারী শাশুড়ী কণা বড়ুয়া ও শশুর অঞ্জন বড়ুয়ার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবী জানান মনসুর আলী’সহ সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিগণ। এব্যাপারে আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ মানবাধিকার সংগঠন, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,এলাকার গণ্যমান্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের নিকট ন্যায় বিচার পাওয়ার আকুতি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী অসহায় হতভাগ্য স্বামী মনসুর আলী। তাহলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাবে, মানুষ আইনের প্রতি আরও বেশি শ্রদ্ধা শীল হবে।