মুহাম্মদ আলী বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি: বান্দরবানে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে “স্বল্পোন্নত হতে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণঃ বঙ্গবন্ধু হতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা” শীর্ষক র্যালী ও আলোচনা সভা ২৪মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয় হতে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয় র্যালী শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিন করে পুনরায় একই স্থানে এসে শেষ হয়,
র্যালীত্তোর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি। উপ-পরিচালক স্থানীয় সরকার মোঃ লুৎফুর রহমান এর সভাপতিত্বে উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার জেরিন আখতার বিপিএম, বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী উপস্থিত ছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরে পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। ১৯৭৫ সাল থেকে স্বল্পোন্নত দেশের কাতারে থাকা বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির সব শর্ত পূরণ করে ২০১৮ সালে। সিডিপি তিনটি সূচকের ভিত্তিতে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের বিষয়টি পর্যালোচনা করে। এ তিনটি সূচকেই (মাথাপিছু আয়,মানবসম্পদ, অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা) বাংলাদেশ শর্ত পূরণ করে অনেক এগিয়ে গেছে। গতবছরের নভেম্বর মাসে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অনুমোদন পেয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃঢ় নেতৃত্বে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের ফলাফলস্বরূপ বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংগঠন কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ করে। ‘৭৫ এ ঘাতকের আঘাতে জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যা করে পরাজিত শক্তি চেয়েছিল বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে। জাতির পিতার যোগ্য উত্তরসূরী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ তথাকথিত ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ করেছে, পরিচিতি পেয়েছে বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে। সকল সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির এ ধারা বজায় রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করে যেতে বাংলাদেশের প্রশাসন বদ্ধ পরিকর।