Wednesday , 24 April 2024
শিরোনাম

বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা, দ্বিতীয় দিল্লি

১৮৬ স্কোর নিয়ে বায়ুদূষণের শীর্ষ পর্যায়ে উঠে এসেছে রাজধানী ঢাকা। এখনও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে এখানকার বাতাস। শনিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে আবহাওয়ার মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (আইকিউএয়ার) সূচক থেকে জানা গেছে এ তথ্য।

একই সময়ে বায়ুদূষণের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। শহরটির স্কোর হচ্ছে ১৭৮ অর্থাৎ সেখানকার বায়ুর মানও অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।

দূষণের দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে নেপালের কাঠমান্ডু। সেখানকার বায়ুর মানের স্কোর হচ্ছে ১৭২ অর্থাৎ অস্বাস্থ্যকর। এরপর দূষণের তালিকায় রয়েছে চীনের সাংহাই। শহরটির দূষণ স্কোর হচ্ছে ১৬৪ অর্থাৎ অস্বাস্থ্যকর।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ঢাকার বায়ুর মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।

তথ্যমতে, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।

একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

ঢাকায় বায়ু দূষণের জন্য ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলোকে দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। বায়ুদূষণের ফলে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালীর সংক্রমণ এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি।

Check Also

ঢাকায় গরমে রিকশা চালানোর সময় চালকের মৃত্যু

প্রচণ্ড গরমের মধ্যে অসুস্থ হয়ে আব্দুল আউয়াল (৪৫) নামের এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার বিকালে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x