স্টাফরিপোর্টারঃ বারে বার বিয়ে. প্রতারনা ও নারী নির্যাতন করা কামরুজ্জামান ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের হাতে আটক।
চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলা ১৫ নং রুপসা ইউনিয়নের পশ্চিম রুপসা গ্রামের আবুল কালামের বড় ছেলে বহু বিবাহ ও যৌতুক নারী নির্যাতন কারি কামরুজ্জামান সাদ্দাম কে অবশেষে ১৮ ই অক্টোবর (মঙ্গলবার) রাতে নারী শিশু ও যৌতুক মামলায় ফরিদগঞ্জ থানা চৌকস অফিসার ইনচার্জ এর নির্দেশনা এসআই আনোয়ার হোসেন ও সঙ্গীয় ফোর্স অভিযান চালিয়ে কামরুজ্জামান সাদ্দাম ও প্রতারনা সহযোগিতা ও নববিবাহিত ছেলের বউকে নির্যাতন করা তাঁর পিতা আবুল কালাম কে আটক করেন ।
ভুক্তভোগী লিমা আক্তার জানান পশ্চিম রুপসা বেপারী বাড়ি (যুগি বাড়ি) আবুল কালামের বড় ছেলে কামরুজ্জামান সাদ্দাম এর সাথে গত ২ সেপ্টেম্বর পারিবারিক ভাবে আমার বিয়ে সম্পন্ন হয়।
কিন্তু সে ইতিপূর্বে একাধিক বিয়ে ও সংসার করার তথ্য গোপন করে আমাকে পারিবারিক ভাবে বিবাহ করেন।
আমার বাবা প্রবাসে থাকা ও পরিবারে সচেতন কেউ থাকা কামরুজ্জামান সাদ্দাম ও তাঁর পিতা আবুল কালাম পারিবারিক ভাবে তথ্য গোপন করে তার একাধিক বিয়ে ও স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও আমাকে বিয়ে করান । তাদের এই প্রতারনা কাজে তাঁর মামা আমাদের সুবিদপুর গ্রামের গ্রামের সেলিম মুন্সি ও দেলোয়ার হোসেন দুলাল গং সহযোগিতা করেন এবং তারা আমাদের গ্রামের হওয়া আমার বাবাকে ফোনে ও আমার মাকে বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যে তথ্য ও একাধিক বিয়ে কথা গোপন করে আমার পরিবারকে রাজি করেন ।
আমি বিয়ের কিছু দিন পর দেখতে পাই আমাদের বাড়ি থেকে দেওয়া আমার সাথে স্বর্ণ অলংকার সে বিক্রি করেন । এবং আমার স্বামী কামরুজ্জামান সাদ্দাম গোপনে ইমুতে মহিলাদের সাথে বাজে বাজে কথা বলেন। পর্বতীতে এক মহিলা তাঁর ফোন করলে আমি রিসিভ করি এবং সে মহিলা. (সালমা বেগম ) তাঁর বর্তমান স্ত্রী দাবি করে আমার সাথে খারাপ আচরণ করেন। আমার সাথে কেনো এমন করছেন জানতে চাইলে
আমার স্বামী. শশুর ও শাশুড়ি উল্টো আমার সাথে মারমুখিসহ ও ভিশন খারাপ ব্যবহার করেন। এবং আমাকে আমার বাবা কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুক আনতে পরিবারের সবাই চাপ প্রয়োগ ও শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন। এরা সবাই একটা প্রতারক চক্র। এই বিষয়ে আমি আমার পরিবার ও আত্মীয় স্বজন কে জানালে আমার ভাই ও আত্মীয় স্বজন আমার শ্বশুর বাড়িতে এসে বহু বিবাহ ও আমার সাথে খারাপ ব্যবহার ও যৌতুক এর বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে আমার স্বামী কামরুজ্জামান ও তাঁর পরিবার সদস্য আমার ভাই ও আত্মীয় স্বজন দের সাথে মারমুখি আচরণ ও খারাপ ব্যবহার করেন। এবং আমাকে আমাদের বাড়িতে নিতে চাইলে আমার আত্মীয় স্বজন কে ফিরিয়ে দেন। পর্বতীতে আমাকে কামরুজ্জামান সাদ্দাম আমার দেবর কামরুল হাসান আমার শ্বশুর আবুল কালাম ও শাশুড়ি আমাকে শারীরিক নির্যাতন করেন। পর্বতীতে আমার আত্মীয় স্বজন আমাকে নিয়ে চাঁদপুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করেন। এই প্রতারক পরিবারের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করছি।
এই বিষয়ে মেয়ের বড় ভাই বিল্লাল হোসেন জানান আমার বাবা প্রবাসে থাকে ও আমি হাজীগঞ্জ চাকরি করি এর মধ্যে আমাদের পাশের বাড়ির দেলোয়ার হোসেন দুলাল ও সেলিম গং তাদের ভাগিনা পশ্চিম রুপসা বাড়ি । আমার প্রবাসী বাবা কে ফোনে ও বাড়িতে বোন কে নিয়ে থাকা মাকে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যে কথা বলে রাজি করে ওই ছেলের একাধিক বিয়ের তথ্য গোপন করেন এবং আমাদের সাথে কামরুজ্জামান পরিবার ও তাঁর আত্মীয় স্বজন প্রতারণা করে আমার বোনের জীবন টা নষ্ট করে দিয়েছে। পর্বতীতে আমার বোন কে যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ. শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন তারা । এবং ২০১৭ সালে প্রথম বিয়ে এবং ২০২১ সালে কামরুজ্জামান সাদ্দাম দ্বিতীয় বিয়ে করা সত্ত্বেও তাঁর পরিবার আমার বোন কে বিয়ে করিয়ে তার জীবন ও আমাদের কে পারিবারিক সামাজিক ও আর্থিক ক্ষতি সাধন করেন। আমরা প্রশাসনের কাছে এই প্রতারকদের উচিত বিচার চাই এবং সে ও তাঁর প্রতারক পরিবার যেনো নতুন করে কোন বোনের জীবন নষ্ট না করে।
এই বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার চৌকস অফিসার এসআই আনোয়ার হোসেন জানান ওসি মহাদয়ের সার্বিক দিক নির্দেশনা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা ১০/৩৫৭. ২০২২এজহারভুক্ত আসামী কামরুজ্জামান সাদ্দাম ও আবুল কালাম ১৯ অক্টোবর (মঙ্গলবার) আটক করি। সকালে আদালতে আসামীদের প্রেরন করা হবে।