হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার ৩নং সাতকাপন ইউনিয়নের পূর্ব জারিয়া গ্রামের অর্পনা রাণী সূত্রধর নামে এক মহিলা একই গ্রামের মোস্তফা মিয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ৫লক্ষ টাকা আত্মসাতের দায়ে আদালতে মামলা করেছেন। মামলাটি তদন্তের জন্য জেলা ডিবি অফিসে প্রেরণ করেছেন আদালত।
মামলা সূত্র ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব জারিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও কাতার প্রবাসী সঞ্জয় সূত্রধরের স্ত্রী অর্পনা রাণী সূত্রধর একই গ্রামের মোস্তফা মিয়াকে ধর্মস্থ পিতা বলে সম্বোধন করিয়া আসিতে থাকেন। মোস্তফা মিয়াও তাকে মেয়ের মতো মূল্যায়ন করতে থাকেন। ভিন ধর্মের অনুসারী হলেও উভয় পরিবারের মাঝেই হৃদ্যতা ও বিশ্বস্ততা তৈরী হয়। প্রবাস হইতে সঞ্জয় সূত্রধর স্ত্রীর নামে জমিজমা ক্রয় করতে টাকা পয়সা পাঠাতে থাকেন। বিগত ২০১৯ সালে জমি ক্রয় করেন অর্পনা রাণী। যথারীতি জমিটি রেজিষ্ট্রী করতে সাব রেজিষ্ট্রী অফিসে যাওয়া হয়। এসময় স্বামীর নির্দেশনার বাইরে অর্পনা রাণী সূত্রধর স্বামীর নামের পরিবর্তে নিজের নামে রেজিষ্ট্রী করতে প্রস্তুতি নেন। এ অবস্থা দেখে মোস্তফা মিয়া প্রবাসী সঞ্জয় সূত্রধরের সাথে যোগাযোগ করে অর্পনা রাণীর এহেন সংবাদটি জানালে স্ত্রীর প্রতি ক্ষুব্ধ হন সঞ্জয় সূত্রধর।
কাতার সঞ্জয় আপত্তি জানান যে, স্ত্রীর নামে রেজিষ্ট্রী হওয়ার প্রশ্নই আসেনা। এমতাবস্থায় জমি ক্রয়ের প্রয়োজন নেই বলেও জানান সঞ্জয়। তবুও অর্পনা রানী স্বামীর টাকায় নিজের নামেই রেজিষ্ট্রী সম্পন্ন করেন। তৈরী হয় দূরে থেকেও স্বামী-স্ত্রীর দ্বন্ধ। আর এই দ্বন্ধের কারণ হিসেবে মোস্তফা মিয়াকেই দায়ী করেন অর্পনা রানী। ফলে ফন্দি করতে থাকেন, কিভাবে মোস্তফা মিয়াকে ফাসাঁনো যায়। চতুর অর্পনা রাণী স্থানীয় এক চেয়ারম্যানকে বশে এনে মোস্তফা মিয়ার বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান আব্দুর রেজ্জাকের সভাপতিত্বে সালিশ বিচার হয়। কিন্তু সেই বৈঠকের তথ্য প্রমাণ উপস্থাপনের ঘাটতি থাকায় বৈঠকটি সেখানেই মূলতবী হয়ে যায়। পরবর্তী বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়েছে মর্মে লিখিত রেজুলেশন করে কয়েক মেম্বার ও সাধারণ মানুষের স্বাক্ষর নিয়ে অর্পনা রাণী সূত্রধর ১১ ডিসেম্বর ২২ হবিগঞ্জ কোর্টে মোস্তফা মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। স্বাক্ষর দাতাদের মধ্যে ২নং ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল করিম, মহিলা মেম্বার সালমা আক্তার ও সাহেনা আক্তার জানান- বিষয়টি এমন হবে আমি জানিনা। চেয়ারম্যান সাহেব বলেছেন আমরা স্বাক্ষর করেছি। স্বাক্ষরদাতা অনেকেই মামলা দায়ের পর বিব্রতবোধ করছেন। অনেকে এ বিষয়টিই জানেন না বলে জানান।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান আব্দুর রেজ্জাক বলেন- বিষয়টি দেখতেছি। এ ব্যাপারে মোস্তফা মিয়া জানান- আমার ছোট ভাই আনোয়ার ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক। বিগত ইউপি নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করায় আমাদের পরিবারের উপর ক্ষুব্ধ হন চেয়ারম্যান। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।