চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৩য় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জমকালো আয়োজনে “বিএমই ফিয়েস্তা-২০২২” অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ২৪শে জুলাই (রবিবার) ২০২২ খ্রি. সকাল ১০.০০ ঘটিকায় বায়োমেডিকেল ভবনের সামনে থেকে এক আনন্দ র্যালি বের করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এতে অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকমণ্ডলী, কর্মকর্তা ও বায়োমেডিকেল বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা অংশগ্রহণ করেন। এর আগে বায়োমেডিকেল বিভাগের করিডোরে আনুষ্ঠানিকভাবে কেক কাটার মাধ্যমে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার শুরু হয়।
পরে যন্ত্রকৌশল বিভাগের সেমিনার কক্ষে “স্বাস্থ্যসেবা খাতের ভবিষ্যৎ ও বায়োমেডিকেল প্রকৌশলীদের ভূমিকা” (Future of Healthcare and Role of Biomedical Engineers) শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এতে গেস্ট অব অনার ছিলেন এপিক প্রোপার্টিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এস.এম. লোকমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক ও আইইবি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাবেক চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার দেলোয়ার মজুমদার। সেমিনারের রিসোর্স পারসন ছিলেন এআইএমএস’র প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. খোন্দকার এ. মামুন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. কাজী দেলোয়ার হোসেন। বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক জনাব মো. ফজলুর করিম খোন্দকারের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন ‘১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী রেহেনা শহীদ ও ‘২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “বায়োমেডিকেল একটি মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিভাগ। এতে একইসাথে ইলেকট্রিক্যাল, কম্পিউটার সায়েন্স ও মেডিকেল সায়েন্সের প্রয়োগ রয়েছে। বহির্বিশ্বে বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। চিকিৎসা বিজ্ঞানের বর্তমান প্রাযুক্তিক অগ্রগতির মূলে রয়েছে বায়োমেডিকেল। ৪র্থ শিল্পবিপ্লবের চ্যালেঞ্জের কথা মাথায় রেখে এবং শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের সহায়তায় চুয়েটের বায়োমেডিকেল বিভাগও বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে আমি আশাবাদী।” সেমিনার শেষে মাননীয় প্রধান অতিথি “বিএমই ফিয়েস্তা-২০২২” উপলক্ষ্যে আয়োজিত আইডিয়া প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার তুলে দেন। এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক-৫ এ স্থাপিত “হিউম্যান এনাটমি অ্যান্ড ফিজিওলজি ল্যাব” এবং “বায়ো-ফ্লুয়িড মেকানিক্স অ্যান্ড হিট ট্রান্সফার ল্যাব” নামে দুটি অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরির উদ্বোধন করেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।