আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সাবেক ৩৩ সংসদ সদস্যসহ দলটির ৭৪৭ জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাদের মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটিকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ধরন হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছে।
শনিবার (০২ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুকে এক বার্তায় অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যাখ্যায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের বার্তায় বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় নির্বাচনের জন্য বড় সংখ্যক প্রার্থী ঘটা করে এবং উৎসবের মধ্য দিয়ে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। সারা দেশে ৩০০ আসনের বিপরীতে মোট ২ হাজার ৭১১টি মনোনয়নপত্র পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের বেঁধে দেওয়া সময়ে দেশের ৪৪টি রাজনৈতিক দলেরর মধ্যে ৩০টি রাজনৈতিক দল থেকে মোট ১ হাজার ৯৬৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে-আওয়ামী লীগের ৩০৩ জন, জাতীয় পার্টির ৩০৪, জাকের পার্টির ২১৮, তৃণমূল বিএনপির ১৫১, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ১৪২, বাংলাদেশ কংগ্রেসের ১১৬ এবং বাকি দলগুলোর প্রার্থীরা তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এতে আরও বলা হয়েছে , অনেক আগ্রহ ও উৎসাহ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে প্রার্থীদের অংশগ্রহণ এখন পর্যন্ত অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন প্রক্রিয়ার একটি বৈশিষ্ট্য, যা নির্বাচন কমিশন এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিএনপির সাবেক ৩৩ সংসদ সদস্যসহ দলটির ৭৪৭ জন নেতা আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাদের মনোয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ধরন তুলে ধরে।
বিএনপির সমালোচনা করে পররাষ্ট্রের বার্তায় বলা হয়, প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল বিএনপির একটি অংশ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে ব্যক্তিগত ও সরকারি সম্পত্তি পুড়িয়ে, অবরোধ, হরতাল করছে এবং নির্বাচন বয়কট করছে।
মন্ত্রণালয়ের ঐ বার্তায় আরও উল্লেখ করা হয়, আসন্ন নির্বাচনের মনোনয়পত্র ১-৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যাচাই-বাছাই করা হবে এবং আগামী ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো প্রার্থী চাইলে তার প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারবে।