বিএনপি-জামায়াত ও তাদের দোসররা সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাধাগ্রস্ত করছে বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শ্যামলী ক্লাব মাঠে দেশব্যাপী দেশবিরোধী বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশের নির্দেশে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুল সভাপতিত্ব ও ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন এর সঞ্চালনা করেন।
যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন-বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলার মুক্তিকামী, দেশপ্রেমী জনতার পাশে পবিত্র দায়িত্ব হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতা-কর্মীরা দাঁড়িয়েছে। বিএনপি-জামাতের সকল ষড়যন্ত্র, সকল চক্রান্তকে রুখে দেয়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ আজকে ঐক্যবদ্ধ, প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
আজকের এই সমাবেশে আমরা বাংলার যুবসমাজ ও বাংলার মানুষের কাছে বলতে চাই, বিএনপি-জামাত একটি জঙ্গি ও সন্ত্রাসী সংগঠন। তারা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক।
বাংলা ভাই, আব্দুর রহমানের মত জঙ্গি সৃষ্টিকারী, ১৭ আগস্ট দেশব্যাপী সিরিজ বোমা হামলাকারী, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলাসহ নানা অপকর্মে দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল বিএনপি-জামাত।
সেই বিএনপি-জামাত আজকে নতুন করে বাংলাদেশকে আবারো বিশ্বের বুকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে জঙ্গি হামলার চক্রান্ত করছে। সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণে বাধাগ্রস্ত করছে।
তিনি আরও বলেন-বিএনপি-জামাতের নেতারা বক্তব্য দেন রক্ত যত লাগে দেব, সরকারের পতন করে ছাড়বো। আমি আজকের এই সমাবেশ থেকে বলতে চাই, বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে বিএনপি-জামাতের রক্ত দেওয়ার কোন ইতিহাস নাই। তাদের আছে শুধু দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের ইতিহাস।
তিনি মির্জা ফখরুলের উদ্দেশ্যে বলেন-আপনি পাকিস্তান আমলে ভাল ছিলেন। এই কথার মাধ্যমে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমকে অপমান করেছেন।
আমি যুবলীগ নেতা-কর্মীদের বলতে চাই, আজকের পর থেকে ঢাকা শহরের কোথাও মির্জা ফখরুলকে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না, যতদিন না তিনি দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা না চান।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস মো. রফিকুল ইসলাম, ড. সাজ্জাদ হায়দার লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক জহির উদ্দিন খসরু, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন পাভেল, উপ-পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মো. শামছুল ইসলাম পাটোয়ারী, সহ-সম্পাদক আলমগীর হোসেন শাহ জয়, বাবলুর রহমান বাবলু, কার্যনিবাহী সদস্য ইঞ্জি. মো. মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, ডা. আওরঙ্গজেব আরুসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ।