ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমল থেকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে রয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির নেতা ও কুমারখালি পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির।
সম্প্রতি অসুস্থ হয়ে পড়লে কাশিমপুর কারাগার থেকে তাকে শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসা শেষে রোববার (২৭ এপ্রিল) কাশিমপুর কারাগারে নেওয়া হয়।
অভিযোগ উঠেছে, চিকিৎসাধীন বিএনপি নেতা হুমায়ুন কবিরকে নির্যাতন করা হচ্ছে। হাসপাতালে থাকা অবস্থায় দেখা যায়, তাকে ডান্ডাবেড়ি ও হাতকড়া পরিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
যেটা নিয়ে জনমনে উদ্বেগ দেখা গেছে। অনেকেই বলছেন, এমন আচরণ একজন মানুষের সঙ্গে করা অনুচিত। একজন মানুষের চিকিৎসাসেবা মৌলিক অধিকার।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির একাধিক নেতা ও কুমারখালি পৌর বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলেন, ‘অবিলম্বে হুমায়ুন কবির ভাইয়ের মুক্তি দাবি জানাই। তার সঙ্গে যে, শিষ্টাচারবহির্ভূত কাজ হচ্ছে, সেটারও প্রতিবাদ জানাই। মহান আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।’
বিএনপির নেতারা বলেন, অবিলম্বের হুমায়ুন কবিরের দ্রুত উন্নত চিকিৎসা এবং দ্রুত মুক্তির জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘মানুষের চিকিৎসা পাওয়া হলো মৈালিক অধিকার। দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির নেতা হুমায়ুন কবির কারাগারে থেকে অসুস্থ। অবিলম্বে তার উন্নত চিকিৎসা ও মুক্তির দাবি জানাই।’
হুমায়ুন কবিরের ভাই মানিক বলেন, ‘আমার ভাই জেলে ভালো নেই। তার সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না।’
তিনি বলেন, ‘আমার ভাই কুষ্টিয়া জেলা বিএনপি ও কুমারখালি পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক। দীর্ঘদিন মিথ্যা মামলায় আটক। অবিলম্বে তার মুক্তি চাই।’
কাশিমপুর কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার আল মামুন বলেন, ‘তাকে উন্নত চিকিৎসা শেষে রোববার কারাগারের হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। সে এখন কাশিমপুর কারাগারে আছে। তার নিরাপত্তার জন্য ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।’