তিনি আরও বলেন, “দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আমাকে বলেছেন—দেশে থাকো, দেশের মানুষের সেবা করো। তাই আমি তার নির্দেশই পালন করছি।”
মঙ্গলবার রাতে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় এম এ মালিক স্মৃতিচারণ করে বলেন, তাঁর প্রয়াত মায়ের শেষ ইচ্ছা ছিল নিজ গ্রামের কবরস্থানে বাবার পাশে দাফন হওয়ার, কিন্তু বিগত সরকারের সময় পাসপোর্ট আটকে দেওয়ার কারণে তিনি মায়ের সেই ইচ্ছা পূরণ করতে পারেননি।
তিনি আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, “আমার সেই কষ্ট থেকেই আজ দেশের মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছি।”
দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তিনি বলেন, “সাগর-রুনির মতো সাংবাদিক হত্যার বিচারহীনতা যাতে আর না ঘটে, সেজন্য বিএনপি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে এম এ মালিক বলেন, “দেশ এখন গভীর সংকটে। প্রশাসনে এখনও ষড়যন্ত্রকারী ও বাকশালী মানসিকতার লোক রয়েছে। তাই বিএনপি পরিবারকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে—এটাই আমাদের নেতার নির্দেশ।”
তিনি আরও বলেন, “আমি এমপি হই বা না হই, আমার এলাকার উন্নয়ন যেন কোনোভাবে ইলিয়াস আলীর চেয়ে কম না হয়—এটাই আমার অঙ্গীকার।”
এম এ মালিক জানান, বালাগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ দক্ষিণ সুরমা অঞ্চলের উন্নয়নে “রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা” বাস্তবায়নের কাজ চলছে। তিনি আশ্বাস দেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই ওই অঞ্চলের সব রাস্তা কার্পেটিং সম্পন্ন হবে এবং পাঁচটি রাস্তায় কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আগামী শুক্রবার থেকে প্রতিটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিশেষ বরাদ্দ কার্যক্রম শুরু হবে, যেখানে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল সরাসরি উপস্থিত থেকে অনুমোদন দেবে।


























