আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্তব্য করে বলেছেন, বিএনপি মানেই হচ্ছে অত্যাচার-নির্যাতন, দুঃশাসন, লুটপাট, দুর্নীতি জঙ্গিবাদ, বাংলা ভাই।
বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির জুলুম-অত্যাচারের সঙ্গে একাত্তরের কোনো তফাৎ দেখি না- মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০১ এর নির্বাচনের পর থেকে আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মীর কারো চোখ তুলে নিয়েছে, হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পিটিয়ে হাড় গুঁড়া গুঁড়া করে দিয়েছে, জেলে নিয়ে গেছে, একেকটা নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে শত শত মামলা দিয়েছে।’
‘সারা বাংলাদেশে ঠিক পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে এ দেশে নারীদের ওপর অত্যাচার করেছে, গণহত্যা চালিয়েছে, অগ্নি সংযোগ করেছে, বিএনপি জামায়াতকে নিয়ে যখন ক্ষমতায় এলো মনে হলো যেন সেই পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সেই অত্যাচার-গণহত্যা এরই যেন পুনরাবৃত্তি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সারা দেশে নারী ধর্ষণ-নির্যাতন ৬ বছরের ছোট্ট শিশু রাজুফা থেকে শুরু করে ৬০ বছরের বৃদ্ধারাও তাদের কাছ থেকে রেহাই পায়নি। আমি যতদূর পেরেছি তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। মেয়েদের ওপর তাদের জুলুম-অত্যাচার ওই সময়ের ঘটনাগুলো যদি তুলনা করা হয় একাত্তরের ঘটনার সঙ্গে আমি কোনো তফাৎ দেখি না।’
যুব মহিলা লীগের নেতাকর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুব মহিলা লীগ করার পর থেকে আমি দেখেছি যে সাহসী ভূমিকা আমাদের যুব মহিলা লীগ নিয়েছে, রাস্তায় নেমেছে। বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে…তারা তো আসলে নারী ক্ষমতায়নে বিশ্বাসই করতো না। আমরা প্রথমবার নারী উন্নয়ন নীতিমালা করলাম। ২০০১-এ বিএনপি ক্ষমতায় এসে সেটা প্রথমে স্থগিত করে দিলো এবং এমন কতগুলো পরিবর্তন নিয়ে এলো যে, নারীদের কোনো ক্ষমতাই থাকে না।’
তিনি বলেন, ‘এদের দুঃশাসন চরম পর্যায়ে। আমরা আওয়ামী লীগ অফিসে যেতে পারতাম না। রাজনীতি করার সুযোগ ছিল না। যুব মহিলা লীগ করার পর সব বাধা অতিক্রম করে আমার এই মেয়েরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছে। একদিকে পুলিশ বাহিনী, আরেকদিকে ছাত্রদল; বিএনপির গুন্ডা বাহিনী। অকথ্য নির্যাতন করেছে আমাদের মেয়েদের ওপর। তারা যে অত্যাচার করেছে, আমরা কিন্তু তার কিছুই তাদের ওপর করিনি। আমরা প্রতিশোধ নিতে যাইনি, দেশের উন্নয়নের দিকে মনোযোগ দিয়েছি।