Thursday , 18 April 2024
শিরোনাম

বিএনপি ৭ই মার্চ বাদ দিয়ে অন্যান্য দিবস পালন করে : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যারা ৭ই মার্চ পালন করে না তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না। ৭ই মার্চকে অস্বীকার করে আমাদের স্বাধীনতাযুদ্ধ হয় না। আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম হয় না।

আজ সোমবার সকালে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।

ড. হাছান বলেন, ১৯৭১ সালে ৭ই মার্চের ভাষণের মধ্যদিয়ে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি নিরস্ত্র জাতিকে সশস্ত্র জাতিতে রূপান্তর করেছিলেন। ইতিহাসের পাতায় এটি একটি অসাধারণ ভাষণ। আজকে যারা ৭ মার্চকে স্বীকার করে না, তারা আসলে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে কতটুকু বিশ্বাস করে সেটি নিয়েই প্রশ্ন দেখা দেয়।

বিএনপিসহ তাদের দোসররা ৭ই মার্চ পালন করে না উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি এখনো দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, বিদেশে বসেও ষড়যন্ত্র করছে। আমি দেশবাসীকে তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই। বিএনপি আজ ৭ই মার্চ পালন না করে যখন অন্য দিবস পালন করছে। তাতেই প্রমাণিত হয় যে তারা আসলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং মুক্তিযুদ্ধকে বিশ্বাস করে না।

এদিন সন্ধ্যায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উপলক্ষে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আলোচনা সভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন মন্ত্রী।

বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, এই ভাষণে জাতির পিতা কার্যত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে দিয়েছিলেন কিন্তু তা এমনভাবে করেছেন যে পাকিস্তানি শাসকদের চেয়ে চেয়ে দেখা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না। এই ভাষণ শুধু বাঙালিকেই মুক্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত করেনি, বিশ্বের সকল মুক্তিকামী মানুষের জন্য এটি পথের দিশারী। এমন অনেক কারণে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের পরম গর্বের এবং একইসাথে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে চিরজাগরূক রাখার এক অবিস্মরণীয় দলিল উল্লেখ করে যারা ৭ মার্চের ভাষণ সেদিন ধারণ করেছিলেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান ড. হাছান মাহমুদ।

মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মিজান উল আলমের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন প্রধান বক্তা, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া আলোচক ও চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া স্বাগত বক্তব্য রাখেন। একুশে পদকে ভূষিত বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ ক্যামেরায় ধারণকারী আমজাদ আলী খন্দকারসহ মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

Check Also

‘প্রভাব বিস্তার করতে চাইলে সরাসরি ব্যবস্থা, আত্মীয় বা অনাত্মীয় দেখা হবে না’

কে কার আত্মীয় বা কে আত্মীয় নয়, তা নির্বাচন কমিশন দেখবে না, কেউ প্রভাব বিস্তার …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x