প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য গঠিত অনুসন্ধান (সার্চ) কমিটির দ্বিতীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আজ।
মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে, গত ৬ ফেব্রুয়ারি একই স্থানে প্রথম বৈঠক করেছিল কমিটি। সার্চ কমিটির সভাপতি বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন—হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন এবং কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
প্রথম বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, যেসব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল আছে, তাদের কাছ থেকে আমরা নাম চাইবো, তাদের কোনো পছন্দ আছে কিনা, প্রস্তাব আছে কিনা—সেটা নোটিফিকেশনের মাধ্যমে কেবিনেট ডিভিশনের ইমেইল বা ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। ব্যক্তিগতভাবেও কেউ চাইলে সাবমিট করতে পারবেন।
পরবর্তী বৈঠকের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগামী পরশু দিন (আজ মঙ্গলবার) আমরা আবার মিটিংয়ে বসব। আগামী শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এবং রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) মোট তিনটা মিটিং হবে। সিভিল সোসাইটি ও মিডিয়ার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ যারা আছেন, নির্বাচন সংক্রান্ত যারা বিশেষজ্ঞ আছেন—তাদের নিয়ে কমিটি এ তিনটি মিটিংয়ে বসবে এবং তাদের কাছ থেকে পরামর্শ বা প্রস্তাবনা থাকলে নেওয়া হবে। তারপরে কমিটি সবার বক্তব্য এবং আইন ও অন্যান্য জিনিস দেখে যেভাবে আইনে যোগ্যতার কথা বলা আছে, সেগুলো বিবেচনা এবং আইন অনুযায়ী সিলেকশন করে পাঁচজনের বিপরীতে দুজন করে মোট ১০ জনের নাম দেওয়া হবে (রাষ্ট্রপতির কাছে)।
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম আরও বলেন, ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় আছে। যদি ১৪ তারিখের বিষয়ে কোনো আবশ্যকতা থাকে তাহলে সেটা করা হবে।
কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বসবেন কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, তাদের সঙ্গে বসব না। তারা ইমেইলের মাধ্যমে নাম দিতে পারবেন।
এদিকে, প্রথম বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ইমেইলের মাধ্যমে ১০ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নাম চেয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে।
প্রসঙ্গত, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দেওয়ার জন্য নাম সুপারিশ করতে সার্চ কমিটি গঠন করে গত ৫ ফেব্রুয়ারি এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।