দেশের তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সমিতির (বিজিএমইএ) ২০২৪-২০২৬ মেয়াদের নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলে। এতে ভোট পড়েছে ৮৯ শতাংশ।
ভোটদান শেষে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলামিন বলেন, এবারের বিজিএমইএ নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। বড় কোনো অভিযোগ ছিল না। ছোট-খাটো দুয়েকটি অভিযোগ ছিল। নির্বাচনে মোট ২ হাজার ৪৯৬ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২ হাজার ২২৬ জন ভোটার, যা ৮৯ শতাংশের কিছু বেশি। এর মধ্যে ঢাকায় ২ হাজার ৩২ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ৮৩৯ জন বা প্রায় ৯০ দশমিক ৫০ শতাংশ। আর চট্টগ্রামে ৪৬৪ ভোটের মধ্যে ৩৮৭ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন বা ৮৩ দশমিক ৪০ শতাংশ।
এদিকে ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গণনার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজিএমইএ নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড। এবারের নির্বাচনে ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৩৫টি পরিচালক পদের বিপরীতে লড়েছেন ৭০জন প্রার্থী।
অপর প্যানেল ফোরামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সুরমা গার্মেন্টেসের পরিচালক ফয়সাল সামাদ। তিনিও বর্তমান কমিটির পরিচালক। এছাড়া তিনি একবার সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।
এবারের নির্বাচনে বড় সংখ্যক তরুণ উদ্যোক্তা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁদের বেশিরভাগই পারিবারিক ব্যবসার উত্তরাধিকারী হিসেবে আসা নবীন শিল্পোদ্যোক্তা। সম্মিলিত পরিষদ ও ফোরাম মিলিয়ে মোট ২১ জন দ্বিতীয় প্রজন্মের ব্যবসায়ী আছেন নির্বাচনে।
নির্বাচনে পরিচালক নির্বাচিত হওয়ার পর সংগঠনের সভাপতি এবং প্রথম সহ-সভাপতি, সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং দুজন সহ-সভাপতি নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র জমা নেওয়া হবে। তাদের মনোনয়ন বাছাই শেষে ১৯ মার্চ চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে কমিশন। সাধারণত নির্বাচনের দিনই নেতা নির্বাচন চূড়ান্ত হয়। নেতা নির্বাচন নিয়ে আপত্তি থাকলে আপিলের সুযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে আপিল নিষ্পত্তির পর ২৮ মার্চ চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে। তাঁরা ২০২৪-২৬ মেয়াদের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
সর্বশেষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০২১ সালে। তখন সম্মিলিত পরিষদ ঢাকা ও চট্টগ্রামের ৩৫ পরিচালকের ২৪টিতে জয়ী হয়। সভাপতি নির্বাচিত হন ফারুক হাসান। ২০২৩ সালের এপ্রিলে এ পরিচালনা পর্ষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দুইদফায় তারা এক বছর সময় বাড়িয়ে নেয়। ২০২৩ সালের ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪-২৬ মেয়াদে বিজিএমইএ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়।