নিজস্ব প্রতিনিধি।। আজ ০২ জুন ২০২৩ খ্রিঃ এ শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার কালাকুমায় বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট, আঞ্চলিক কেন্দ্র, কিশোরগঞ্জ কর্তৃক আয়োজিত বিজেআরআই উদ্ভাবিত পাট ও কেনাফের উচ্চফলনশীল জাতের উপর আঁশ ও বীজ উৎপাদন প্রযুক্তি বিষয়ক ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কৃষক প্রশিক্ষণ ও কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ বিতরণ কর্মসূচি এবং মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিজিটাল ও স্মার্ট বিজেআরআই এর রুপকার বাংলাদেশের একমাত্র কেনাফ বীজ উৎপাদন সমিতির প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো: আবদুল আউয়াল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ মোকছেদুর রহমান লেবু, উপজেলা চেয়ারম্যান, নালিতাবাড়ী। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ ড. মোহাম্মদ আশরাফুল আলম, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, পাট গবেষণা আঞ্চলিক কেন্দ্র কিশোরগঞ্জ,কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা , নালিতাবাড়ী, জনাব খোরশেদ আলম খোকা, চেয়ারম্যান, রামচন্দ্রকুড়া ইউনিয়ন পরিষদ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কৃষিবিদ রঞ্জন চন্দ্র দাস, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, নাজমুল আহসান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, পাট গবেষণা আঞ্চলিক কেন্দ্র, কিশোরগঞ্জ।উক্ত কৃষক প্রশিক্ষণ ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিজেআরআই এর মহাপরিচালক মহোদয় ড. মোঃ আবদুল আউয়াল পাট আঁশ ও বীজ উৎপাদন বিষয়ে কথা বলেন এবং কৃষকদের সমস্যার কথা শুনেন এবং সমস্যা সমাধানের পরামর্শ প্রদান করেন।
মহাপরিচালক মহোদয়ের বলেন, কৃষক ভাইরা হলো কৃষির প্রাণ, তারাই হলো সবথেকে বড় বিজ্ঞানী। মহাপরিচালক জাতীয় শস্য বিন্যাসে জমিতে ধানের পাশাপাশি পাট চাষ স্থাপন করতে পারলে কৃষক আর্থিকভাবে ও লাভবান হবে আবার মাটির স্বাস্থ্যের ও উন্নতি সাধন হবে। এছাড়াও বিজেআরআই মহাপরিচালক বলেন, বীজে স্বয়ংসম্পন্নতা অর্জনে আপনাদের নিজের বীজ নিজে উৎপাদন করতে হবে। এক সময় এ অঞ্চলে উৎপাদিত হতো উন্নত মানের পাট। পাটের প্রতিশব্দ নলিতা বা নাইল্যা। এই বা নাইল্যা থেকেই উপজেলার নাম হয়েছে নালিতাবাড়ী। তাই আপনাদের আবারও বেশি বেশি পাট চাষ করে এ অঞ্চলের সুনাম ফিরিয়ে আনতে হবে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জনাব মোঃ মোকছেদুর রহমান লেবু,উপজেলা চেয়ারম্যান, নালিতাবাড়ী পাটের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার কথা বলেন ও পাট আঁশ করে পাটের সোনালী অতীত ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট এর মহাপরিচালক-কে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিবৃন্দগণ পাটের গুরুত্ব, চাষবাদ, রোগবালাই ও পোকমাকড় দমন,পাট ফসল কর্তনের সময়, পাট আশঁ জাগ দেয়া এবং আশঁ শুকানোর বিষয়ে কথা বলেন। অনুষ্ঠানের শেষে মহাপরিচালক ড.মোঃ আবদুল আউয়াল স্যার ৫০ জন কৃষককে মোট ৭৫ কেজি বীজ বিতরণ করেন। প্রতি জনকে ৫০০ গ্রাম করে দেশি, তোষা, ও কেনাফ জাতের মোট ১.৫ কেজি বীজ করে বিতরণ করেন।পরিশেষে অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে মতবিনিময় সভায় কৃষকরা বিজেআরআই এর মহাপরিচালককে নিয়ে গর্ববোধ করেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
মহাপরিচালক কৃষকদেরকে সার্বিক সহযোগিতার জন্যে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পরিশেষে, সভাপতি সবার উপস্থিতিতে একটি সফল কৃষক প্রশিক্ষণ, বীজ বিতরণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।