বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘বিদেশিরা ভারত, ভুটান কিংবা শ্রীলঙ্কা যাননি। তারা শুধুমাত্র বাংলাদেশে এসেছেন। কারণ তারা জানেন দেশে শেখ হাসিনার অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে না। এটা তাদের কাছে পরিষ্কার। বর্তমান সরকারের অধীনে সংবিধান মোতাবেক যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হতো তাহলে তারা আসতেন না।
বুধবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দফা ঘোষণার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
আমির খসরু অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগ ‘পাবলিক সেন্টিমেন্ট’ বুঝতে পেরে ভোট চুরির প্রকল্প নিয়েছে। বাংলাদেশে গুম, খুন, হত্যা, মিথ্যা মামলা, গায়েবি মামলা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে এই ভোট চুরির প্রকল্পের অংশ হিসেবে। বিচার বিভাগকে দলীয়করণ করেছে। সম্প্রতি ২৭ জন জেলা প্রশাসককে পদায়ন করা হয়েছে। অনেক পুলিশ অফিসারদের পদায়ন করা হয়েছে। যারা মন্ত্রীদের পিএস, সচিবের পিএস। প্রধানমন্ত্রীর অফিসে যারা আছেন। একটা সুবিধা হচ্ছে, নামগুলো আমরা সব পেয়ে গেছি। আগামী দিনে বাংলাদেশে যখন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে এরা কেউ এ পদে থাকতে পারবে না। সরকার ভোট চুরির যেসব পন্থা অবলম্বন করার চিন্তাভাবনা করছে তা ভেঙে চুরমার করে দেবে জনগণ।
তিনি বলেন, ১ দফা ঘোষণার প্রয়োজনীয়তা কেন দেখা দিয়েছে? জাতি আজকে ঐক্যমতে পৌঁছেছে। জাতি আজকে মুক্তির অপেক্ষায় একটি ঘোষণা চায়। আন্দোলন সফল হয়েছে, লাখো জনতা রাস্তায় আছে। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্যাসিস্টকে বিদায় দেওয়ার জন্য।
খসরু বলেন, ভোট চুরির প্রকল্পের সঙ্গে যারা জড়িত থাকবে তাদের সাবধান করে দিচ্ছি। সাবধান হয়ে যান, এই ভোট চুরির প্রকল্পের সঙ্গে থাকবেন না। থাকলে বাংলাদেশের মানুষের সম্মুখীন হতে হবে। কেউ রেহাই পাবে না। জনগণ জেগেছে, যেতে হবে। সংবিধানের দোহাই দিয়ে সংবিধানের অধীনে নির্বাচন, সেটা ভুলে যান।