দক্ষ নারী কর্মীদের নিরাপদ অভিবাসন দেশের অর্থনীতির জন্য গেম চেঞ্জার হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদ।
আজ বৃহস্পতিবার ‘নারী অভিবাসীদের সম্মিলিত কণ্ঠস্বর’ নামে একটি জোটের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, নারী অভিবাসীদের নিয়ে অনেক সম্ভাবনা আছে। জার্মানি, জাপানসহ আরও অনেক দেশে দক্ষ নারী শ্রমিক পাঠানো প্রয়োজন।
এই জোট নারী অভিবাসীদের শারীরিক, মানসিক, আর্থিক ও যৌন নির্যাতনসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিকার ও প্রতিরোধ নিয়ে কাজ করবে। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ), গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা এবং সহযোগী নারী অধিকার সংগঠন সেন্টার ফর উইমেন অ্যান্ড চিল্ড্রেন স্টাডিজ (সিডাব্লিউসিএস)-সহ নারী অধিকারভিত্তিক ২২টি সংস্থা এই জোটে আছে।
প্রবাসী কল্যাণ ভবনে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, এই জোট বা মোর্চা আমাদের মন্ত্রণায়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করলে আমরা মেয়েদেরকে দক্ষ ও শিক্ষিত কর্মশক্তিতে রূপান্তরিত করে নিরাপদ অভিবাসনের পথে এগিয়ে নিতে পারব বলে মনে করি। কারণ, অভিবাসী নারী কর্মী হতে পারে এ দেশের অর্থনীতির আরেকটি গেম চেঞ্জার।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব আহমেদ মুনিরাস সালেহীন, এমজেএফ এর নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম এবং কানাডিয়ান হাই কমিশন, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার ইন্টারন্যাশনাল এসিসটেন্স প্রোগ্রাম অ্যাডভাইজার ফাহমিদা ওয়াহাব। প্রবাসী কল্যাণ ভবনে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সিডাব্লিউসিএস এর নির্বাহী প্রধান প্রফেসার ইশরাত শামীম।
বিশেষ অতিথির ভাষণে শাহীন আনাম বলেন, দারিদ্র্য থেকে মুক্তি, অধিক উপার্জনের পথ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঝুঁকিপূর্ণ। এর পরও আমাদের মেয়েরা কর্মসংস্থানের জন্য বৈদেশিক অভিবাসনকে বেছে নিচ্ছেন, এটা খুশির খবর। ২০২১ সালে দেখা বাংলাদেশের মোট অভিবাসী কর্মশক্তির ১৩ শতাংশই ছিল নারী অভিবাসী। এটা কিন্তু বড় একটা সংখ্যা।
তিনি আরও বলেন, আমরা কোনভাবেই চাইনা নারী অভিবাসন বন্ধ হোক। শুধু চাই নারীর এই অভিবাসন যেন তাকে আরও কঠিন কঠোর অবস্থার দিকে ঠেলে না দেয়। দুর্ভাগ্যবশত আমরা দেখছি অনেকক্ষেত্রেই নারীদের অভিবাসীদের নিরাপদ হচ্ছে না, যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন, কপর্দকহীন হয়ে দেশে আসছেন, কম মজুরী পাচ্ছেন, দীর্ঘসময় কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। আমরা এইসব ইস্যু নিয়ে কাজ করেছি এবং করছি এবং সরকারের সাথে আরও কাজ করতে চাই। আমরা চাই অভিবাসনে ইচ্ছুক কর্মীদের দক্ষতা বাড়ুক। যেন এর মাধ্যমে দর কষাকষি করতে পারেন। এর ফলে সবার জন্য নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করা সম্ভব।